গত দুই দশক ধরে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের দুটি ধারা বিদ্যমান রয়েছে। একদিকে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনের ৫ বারের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই এবং ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার।
অন্যদিকে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। সম্প্রতি ঝিনাইদহ ৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে আবারও ঝিনাইদহ জেলা সদর ও কালীগঞ্জের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। নিজে সংসদ সদস্য হতেই মিন্টুই আনারকে হত্যা করেছে এমন অভিযোগ করেছেন কালীগঞ্জ পৌর মেয়র আশরাফুল আলম।
ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ প্রকাশ গ্যাস বাবু ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আনার হত্যায় মিন্টু জড়িত বলে উল্লেখ করেছে।
মেয়র বলেন, ‘এমন নৃশংস হত্যা পৃথিবীতে আর একটি ঘটেছে বলে আমাদের জানা নেই। তোমাদের উদ্দেশ্য ছিল আনার সাহেবের লাশ কেউ কখনও খুঁজে পাবে না, তার হত্যা কেউ বুঝতেও পারবে না। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে তোমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবা। কিন্তু আল্লাহরও তো খেলা আছে। ১০ দিন যেতে না যেতেই কারা কারা এর সঙ্গে যুক্ত, গোয়েন্দা সংস্থা গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে সকলের মুখোশ উন্মোচন করেছে।
কালীগঞ্জ পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টুর উদ্দেশ্যে বলেন, গাদ্দার হিসেবে কালীগঞ্জের মানুষের কাছে আপনার মুখোশ উন্মোচিত হয়ে গেছে। ঝিনাইদহ থেকে কালীগঞ্জে এসে এই আসনের মাতব্বরি করবেন, আপনাদের সেই স্বপ্ন প্রতিরোধ করে দেওয়ার জন্য চার লাখ মানুষ তৈরি আছে। কখনোই এই স্বপ্নপূরণ হতে দেবে না কালীগঞ্জের মানুষ।’
এদিকে সাইদুল করিম মিন্টুর মুক্তির দাবিতে ঝিনাইদহে মিছিল- সমাবেশ মানব বন্ধন করছে তার অনুসারিরা। পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল বিশ্বাস এক মানববন্ধন অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য আনারের পক্ষের নেতাদের হুশিঁয়ারি দিয়েছে।
একদিকে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকারি হিসাবে সাইদুল করিম মিন্টুর বিচার। অন্যদিকে তার মুক্তির দাবিতে ঝিনাইদ আওয়ামী লীগের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। যে কোনো সময় পরিস্থিতি হতে পারে সংঘাতময়।
শামীমা চৌধুরী শাম্মী