বিএনএ, রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবর্ষ স্নাতক (সম্মান)/স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে ছয়স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যার মধ্যে রয়েছে সাইবার ক্রাইম ইউনিট, চারজন ম্যাজিস্ট্রেট, শতাধিক সাদা পোশাকের গোয়েন্দা, পুলিশ প্রশাসনসহ বিশ্ববিদ্যালয় আইসিটি সেন্টার ও প্রক্টরিয়াল টিম।
সোমবার (২৯ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।
রাবি উপাচার্য বলেন, “আমরা এক সপ্তাহ ধরে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে, কিন্তু তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি যেন ভোগান্তি কিছুটা হলেও লাঘব করতে পারি। এখন পর্যন্ত প্রশ্নফাঁসের কোনো ধরনের গুজব তৈরি হয়নি। আমাদের সিস্টেমটা নিখুঁত, এখানে প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে মনে করবেন সেটা গুজব।’
অধ্যাপক সাত্তার আরও বলেন, “আমরা ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি ঠেকাতে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছি। জালিয়াতি ঠেকাতে কাজ করছে সাইবার ক্রাইম ইউনিট, চার শতাধিক সাদা পোশাকের গোয়েন্দা, চারজন ম্যাজিস্টেটসহ পুলিশ প্রশাসন সহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়াও সন্দেহের তালিকা ৩০ জনকে আমরা নজরদারিতে রেখেছি।”
বিভাগীয় শহরগুলোতে পরীক্ষা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভর্তি পরীক্ষার বিস্তারিত সিদ্ধান্ত একাডেমিক কমিটির উপর নির্ভর করে। তাদের সিদ্ধান্তের আলোকেই আমরা বিভাগীয় পর্যায়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। তবে চ্যান্সেলর মহোদয় একক পরীক্ষার কথা বলেছেন। সেটা যদি কার্যকর হয় তবে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের আলোকেই ভর্তি পরীক্ষা হবে আগামী বছর থেকে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবাইদুর রহমান প্রামাণিক, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞান ইউনিটের চার শিফটের মধ্যে সকাল ৯টায় প্রথম শিফটে ‘সি’ ইউনিটের প্রায় ১৯ হাজার ভর্তিচ্ছু পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। চার শিফটে মোট ৭৫ হাজার ৪০০ জন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষা দেবে।
বিএনএ/সাকিব, ওজি