বিএনএ, বিশ্বডেস্ক : তাণ্ডব চালিয়ে, অনেকগুলো মৃত্যুর দায় নিয়ে চলে গিযেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। কিন্তু তার পর জন্ম নিয়েছে ৩০০-র বেশি ‘ইয়াস’। এতগুলো ইয়াস জন্ম নিয়েছে শুনে আতঙ্কিত বা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ এ ইয়াসগুলো কোন ক্ষতি করবে না বরং এরা আদরের।
আসল গল্পটা হল ভারতের সমুদ্র উপকূলীয় এলাকার পাশাপাশি পাশের রাজ্য ওড়িশার বিস্তীর্ণ এলাকার ওপর দিয়ে ধংসলীলা চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার দিন ওই রাজ্যের বহু দম্পতি তাঁদের নবজাতকের জন্ম দেন। তাঁরা ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর নাম অনুসারে তাঁদের সদ্যোজাতের নাম রাখতে চাইছেন ইয়াস। রাজ্যে প্রশাসনিক সূত্র এমনটাই দাবি করেছে।
আগাগোড়া ভারতীয় সংস্কৃতিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুর্ভিক্ষ বা কোনও উল্লেখযোগ্য ঘটনাকে মনে রেখে সদ্যোজাতদের নাম রাখতে দেখা যায়। তাই এই ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু সংখ্যাটা এবার বেশ বড়। মঙ্গলবার রাতে ঘূর্ণিঝড় যখন দেশের পূর্ব উপকূলে পৌঁছেছিল, তখন অনেক শিশুর জন্ম হয়। আবার এমন আরও অনেকে আছে যারা বালাসোরেযখন ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে, তখন ওই এলাকা থেকে ৫০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে পৃথিবীর প্রথম আলো দেখে। বালাসোর জেলার পরখি এলাকার বাসিন্দা সোনালি মাইতি বলেছিলেন যে তিনি তার নবজাতক ছেলের জন্য ‘ইয়াস’-এর চেয়ে ভাল নাম ভাবতে পারেননি, তিনি মনে করেন তার পুত্রসন্তানের জন্মে ঘূর্ণিঝড়ের আগমন ঘটেছে।
একই ভাবে কেন্দ্রাপাড়া জেলার বাসিন্দা সরস্বতী বৈরাগী বলেন, যে তিনি ঝড়ের পরে নিজের নবজাতক মেয়ের নাম রেখেছেন ‘ইয়াস’, তাঁর দাবি প্রত্যেকে এই নামের জন্য এই ভয়ানক ঝড়কে মনে রাখবে। তিনি বলেন, “আমার সন্তান এমন দিনে পৃথিবীতে এসেছে, যার জন্য আমি অত্যন্ত খুশি, যা প্রত্যেকে মনে রাখবে। আমি তার নাম রেখেছি ‘ইয়াস বৈরাগী”। রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চল থেকেও এই একই ঘটনা সামনে আসছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর।
আসলে সামুদ্রিক ঝড়গুলির ক্ষেত্রে প্রতিবারই কোনও না কোনও দেশ নামকরণ করে। এবার এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখে ওমান (Oman)। ‘ইয়াস’ শব্দটির উৎপত্তি ফারসি ভাষা থেকে। এর ইংরেজি অর্থ ‘জেসমিন’ বা জুঁইফুল।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।