21 C
আবহাওয়া
৮:৪৬ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ১৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ১০ বছর পর গাজীপুরে স্কুল ছাত্র হত্যার রায়,সাতজনের যাবজ্জীবন

১০ বছর পর গাজীপুরে স্কুল ছাত্র হত্যার রায়,সাতজনের যাবজ্জীবন


বিএনএ,ঢাকা: অপহরণের পর এক লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে স্কুলছাত্র সোহেল (১৪)হত্যার দায়ে সাতজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৯ এপ্রিল) গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. বাহাউদ্দিন কাজী এ রায় প্রদান করেন।

রায়ে প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

নিহত সোহেল স্থানীয় ভাবানীপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। সে শিংদিঘী গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা।তার বাবা ফজলুর রহমান স্থানীয় ন্যাশলাল ফিড কোম্পানির কর্মচারী।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সেলিম (২২), আব্দুল্লাহ আল মামুন (১৯), শাহ আলম (২৯), মো. রিপন মিয়া (৩০), মো. মিলন খন্দকার (২৪), মো. তানজিল (২৪) ও শফিকুল ইসলাম (২২)। রায় ঘোষণাকালে আব্দুল্লাহ আল মামুন, সেলিম, রিপন খন্দকার ও মো. তানজিল আদালতে উপস্থিত ছিল। শাহ আলম ও মিলন খন্দকার জামিন নিয়ে পলাতক এবং শফিকুল ইসলাম মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর রাত আটটার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মো. সোহেল পার্শ্ববর্তী চায়ের দোকানে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরদিন সোহেলের বাবার মোবাইলে ফোন দিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তি সোহেলের সন্ধান দানের জন্য এক লাখ টাকা দাবি করেন। ১০ ডিসেম্বর সকালে জয়দেবপুর থানার লুটিয়ারচালা গ্রামের মিনারদাগ এলাকার গজারী বনের ভেতর ছেলের মরদেহ পড়ে থাকার খবর পান বাবা। খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফজলুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, অজ্ঞাতনামা খুনিরা অজ্ঞাত কারণে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার ছেলে মো. সোহেলকে বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী দোকানে যাওয়ার পথে কৌশলে ডেকে নিয়ে মারপিট করে গলায় প্লাস্টিকের সুতলী পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। হত্যার রহস্য গোপন করার জন্য মরদেহ ঘটনাস্থল লুটিয়ারচালা এলাকার মিনারদাগ গজারী বনের ভেতরে ফেলে পালিয়ে যায়।

মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মোহাম্মদ হাসান তদন্তের পর ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি ওই সাতজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। দীর্ঘ শুনানীর পর আদালত সাত আসামিকে এই সাজা প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি মাহবুব আলম মামুন। আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট লাবিব সিদ্দিকী।

বিএনএনিউজ/রেহানা,ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ