22 C
আবহাওয়া
৯:০৭ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দুঃসহ স্মৃতিবিজড়িত ভয়াল ২৯ এপ্রিল আজ

দুঃসহ স্মৃতিবিজড়িত ভয়াল ২৯ এপ্রিল আজ

দুঃসহ স্মৃতিবিজড়িত ভয়াল ২৯ এপ্রিল আজ

বিএনএ ডেস্ক: দেশের উপকূলীয় এলাকায় দুঃসহ স্মৃতিবিজড়িত ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ৩০ বছর পূর্ণ হলো আজ।১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল রাতে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনাসহ দেশের উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ১৫ থেকে ২০ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানে। লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় উপকূলীয় এলাকা।কেড়ে নেয় উপকূলের লাখো মানুষের প্রাণ।নিখোঁজ হয় এক লাখ মানুষ।সেইসঙ্গে কয়েক লাখ গবাদি পশুর প্রাণ যায়।কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিরানভূমিতে পরিণত হয় প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ উপকূলীয় এলাকা।

ওই রাতের তাণ্ডবে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয় বলে সরকারি হিসাবে বলা হয়। তবে বেসরকারি হিসাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেক বেশি হবে।

ঘূর্ণিঝড়ের ছোবলে সন্তান হারায় মা-বাবাকে, মা হারান তাঁর প্রিয় সন্তানদের, স্বামী হারান স্ত্রীকে, স্ত্রী হারান তার প্রাণের চেয়ে প্রিয় স্বামীকে। সে ভয়াল রাতের স্মৃতি মনে পড়লে উপকূলবাসী এখনও আঁতকে উঠে।তাই ২৯ এপ্রিল উপকূলবাসীর বেদনার দিবস হিসেবে সবার কাছে পরিচিত।

১৯৯১ সালের এই দিনে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া ও মহেশখালীর ধলঘাটা উপ-দ্বীপে। এখানে এমন কোনো বাড়ি বা ঘর নেই যে বাড়ি বা ঘর থেকে পাঁচ/ছয়জন লোক মারা যায়নি। তাই এ দিনটি এলে এখনও প্রতিটি বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে যায়।

সে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের ৩০ বছর অতিবাহিত হলেও কক্সবাজারসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের উপকূলবাসী এখনও অরক্ষিত।এর সঙ্গে যোগ হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। সে কারণে প্রতি বছরই বাড়ছে ঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও বন্যা।

কক্সবাজারের ৫৯৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে দেড়শ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ। ৪০ কিলোমিটারেরও বেশি চরম ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রয়েছে।কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া দ্বীপ ও মগনামা ধলঘাটা বিস্তীর্ণ এলাকায় এখনও জোয়ারের পনিতে সয়লাব হয়।

তবে ঝুঁকিপূর্ণ  আটটি পয়েন্টে জরুরি মেরামত শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড়ের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী।উপকূলবাসীর একটাই দাবি—টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে যেন দেশের উপকূলকে সাগরের করালগ্রাস থেকে রক্ষা করা হয়।

এদিকে, ২৯ এপ্রিল নিহতদের স্মরণে আজ বৃহস্পতিবার দেশের উপকূলের প্রতিটি বাড়িতে ফাতেহা চলছে। কোরানখানি, মিলাদ মাহফিল, দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা, কাঙালি ভোজ, চিত্র প্রদর্শনীসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে বিভিন্ন সংগঠন।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ