22 C
আবহাওয়া
১১:২২ অপরাহ্ণ - জানুয়ারি ৫, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » ‘উপাচার্যদের দুর্নীতির খবর শুনে লজ্জায় মাথা নত হয়ে আসে’

‘উপাচার্যদের দুর্নীতির খবর শুনে লজ্জায় মাথা নত হয়ে আসে’

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু এবং বিএনপির হারুন অর রশীদ

জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, আগে উপাচার্যদের কথা শুনলে শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসত।  এখন তাদের দুর্নীতির খবর শুনে লজ্জায় মাথা নত হয়ে আসে। পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ দিচ্ছেন।  দুর্নীতি করছেন।

মঙ্গলবার(২৯মার্চ) মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিএনপির হারুন অর রশীদ উপাচার্যদের ‘কর্মকাণ্ড’ নিয়ে সমালোচনা করেন।

বিএনপির হারুন অর রশীদ অভিযোগ করেন, উপাচার্যরা ‘যা ইচ্ছা তাই করছেন’। মুজিবুল হক চুন্নু জাতীয় পার্টির মহাসচিব চুন্নু ‘দলীয় বিবেচনার বাইরে’ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করার দাবি করেন।

ঢালাওভাবে উপাচার্যদের নিয়ে মন্তব্য করা সমীচীন নয়

পরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কার্যকলাপ নিয়ে কিছু কিছু সমালোচনা আছে। যেগুলোর সত্যতাও আছে এবং সেগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।  কিন্তু ঢালাওভাবে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে মন্তব্য করা সমীচীন মনে করি না।

তিনি বলেন, আমাদের খুবই বরেণ্য শিক্ষকরা আছেন, যাদের উপাচার্য হিসেবে পেলে গর্ব অনুভব করতাম। কিন্তু তাদের অনেকেই এই প্রশাসনিক দায়িত্ব নিতে আগ্রহী হন না। আমরা চাইলেও সবচাইতে ভালো কেউ আগ্রহী হবেন- তেমন নয়।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের জন্য যখন প্যানেল প্রস্তুত করে আচর্যের (রাষ্ট্রপতি) কাছে পাঠানো হয়, কিছু বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে ওই তালিকা করা হয়।  প্রথম দেখা হয় তাদের অ্যাকাডেমিক একসিলেন্স, দ্বিতীয়ত দেখা হয়, তারা গবেষণা কী রকম করেছেন।  একইসঙ্গে তাদের যে প্রতিষ্ঠান, সেখানে নেতৃত্ব দিয়েছেন কিনা সমিতি থাকে, নানা জায়গা থাকে, সেখানে নেতৃত্ব দিয়েছেন কি না।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উপাচার্য শুধু অ্যাকাডেমিক দিক দেখেন না, নেতৃত্ব দেয়ার গুণাবলীও জরুরি। একইসঙ্গে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন কি না সেটাও দেখা হয়। এসব বিবেচনায় যাদের সবচাইতে ভালো মনে করা হয় তাদের নাম প্রস্তাব করা হয়।

বিএনএনিউজ২৪,জিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ