বিএনএ, ঢাকা: বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ও খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে রুল শুনানির জন্য আগামী রোববার (৩ মার্চ) ধার্য করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাজউকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন মাসুদ। সালাম মুর্শেদীর পক্ষে কাগজপত্র দাখিল করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।
শুনানিতে ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, রাজউক ও দুদকের হাইকোর্টে দাখিল করা প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়েছে গুলশানে সালাম মুর্শেদী যে বাড়িতে বাস করছেন সেটা রাষ্ট্রের সম্পত্তি। এই বাড়িতে তিনি এখন এক মুহূর্তও থাকতে পারেন না। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, মানুষ অপহরণের মতো সালাম মুর্শেদী গুলশানের বাড়ি অপহরণ করে বাস করছেন। এই বাড়িতে তিনি প্রতি সেকেন্ড অবৈধভাবে বসবাস করছেন।
এসময় হাইকোর্ট রাজউকের আইনজীবীকে প্রশ্ন রেখে বলেন, সেটেলমেন্ট কোর্টের অর্ডার ছাড়া এই সম্পত্তি কীভাবে সালাম মুর্শেদীর কাছে হস্তান্তর করা হলো? পরে আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী রোববার (৩ মার্চ) দিন ধার্য করেন।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, সালাম মুর্শেদীর বাড়িকে কেন্দ্র করে জাল জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে, এটা দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এই বাড়ি নিয়ে মামলা হয়েছে, তদন্তে জানা যাবে কার কতটুকু দায় আছে। ৮ ফেব্রুয়ারি দাখিল করা খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে জালিয়াতির ঘটনার প্রমাণ মিলেছে। দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন ও মামলার এফআইআর হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে।
গত বছরের ১ নভেম্বর সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে এ সম্পত্তি সম্পর্কিত সব কাগজপত্র ১০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রাজউক, গণপূর্ত বিভাগ ও সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ দেন আদালত। ৬ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ রিট দায়ের করেন। রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
বিএনএনিউজ/ রেহানা/ বিএম/হাসনা