বিএনএ, ঢাকা: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) এক যুগ আগে করা রাজধানীর গুলশান থানার নাশকতার মামলার এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া।
মামলায় আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও মেজর (অব.) মো. হানিফকে দণ্ডবিধির আলাদা দুই ধারায় মোট ২১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে আসামি এম এ আউয়াল খান, মো. রাসেল, মঈনুল ইসলাম, বাবুল হোসেন ওরফে বাবু ও আলমগীর বিশ্বাস ওরফে রাজুকে দণ্ডবিধির আলাদা দুই ধারায় মোট ৪২ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেকের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ১১ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। তারা হলেন, এম এ কাউয়ুম, মো. দুলাল, তোফায়েল আহম্মেদ ওরফে লিটন, জাহাঙ্গীর শিকদার ওরফে বাবু, আরিফুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, সামসুল হক মিয়াজী, বিপ্লব, খুরশিদ আলম মমতাজ, মোশারফ হোসেন ও মাহাবুব।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা ২০১১ সালের ৪ জুন গুলশান থানাধীন মহাখালী ওয়ারলেস গেট পানির ট্যাংকির সামনে রাস্তার ওপর অবৈধ সমাবেশ থেকে পুলিশের কাজে বাধা দেন এবং তাদের আক্রমণ করেন। রাস্তার চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন।
২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের পর গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামালায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার বিচার চালাকালীন আদালত ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্য নেয়।
বিএনএ/এমএফ