বিএনএ ঝালকাঠি: ঝালকাঠিতে যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুনের ঘটনায় পঞ্চম দিনের উদ্ধার অভিযানে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে অভিযান চালিয়ে মরদেহ দুইটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড সদস্যরা।
একটি মরদেহের আনুমানিক বয়স হবে ৩২, অপরটির ১৩ বছর। একটি মরদেহের শরীরে আগুনে পোড়া চিহ্ন রয়েছে। তবে মরদেহ দুইটির কোনো স্বজনকে এখনও পাওয়া যায়নি।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় সুগন্ধা নদীতে ভেসে ওঠে এক যুবকের মরদেহ। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে মরদেহটি উদ্ধার করে ডুবুরিদল। ডুবুরিদল জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত যুবকের মুখমণ্ডল আগুনে পোড়া। গায়ে সোয়েটার রয়েছে। তবে এখনও তার পরিচয় শনাক্ত হয়নি।
এদিকে,সুগন্ধা নদীর চরবাটারাকান্দা এলাকায় ভেসে ওঠা এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই নিয়ে দুই দিনে নদী থেকে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত ব্যক্তির সংখ্যা (উদ্ধারকৃত) বেড়ে দাঁড়ালো ৪৩ জনে।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) উদ্ধার হওয়া মরদেহটি শনাক্ত করেছেন স্বজনরা। ওই ব্যক্তি অভিযান লঞ্চের ক্যান্টিনের বাবুর্চি ছিলেন। তার নাম শাকিল আহম্মেদ (৩৫)। তিনি নারায়ণঞ্জের ফতুল্লার বাসিন্দা ছিলেন। মরদেহ শনাক্ত করেন তার মামা লুৎফর রহমান। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো ঝালকাঠি সিআইডি পুলিশের পক্ষ থেকে শহরের পৌর মিনিপার্ক ডিএনএ টেস্টের জন্য এলাকায় স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ঢাকা থেকে আসা ৩ সদস্যের ফরেনসিক দল, বরিশালের ক্রাইমসিন এবং ঝালকাঠি সিআইডির সদস্যরা এই নমুনা সংগ্রহ করেন।
এছাড়া, লঞ্চে আগুনের ঘটনায় সোমবার দিবাগত রাতে ঝালকাঠি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখ ও স্টাফসহ আট জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি করেন লঞ্চে আগুনে নিহতের স্বজন মনির হোসেন।
বিএনএনিউজ/আরকেসি