বিএনএ ডেস্ক : গাজায় নিরস্ত্র অধিবাসী হত্যার হোলি উৎসবে মেতে উঠলেও হামাসের সাথে পাঙ্গা লড়ে সুবিধা করতে পারেনি ইসরায়েল। এ নিদারুণ কষ্ঠ ভুলতে হামাস নির্মূলে গাজায় আবারও চড়াও হতে যাচ্ছে তারা।যুদ্ধবিরতির পর অভিযানে নামার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল ।
এ দিকে আমেরিকা ও ইউরোপের কয়েকটি দেশ ছাড়া বিশ্বের প্রায় দেশ গাজায় অমানবিক হত্যাযজ্ঞের লাগাম টেনে ধরতে ইসরায়েলকে ক্রমাগত চাপ দিয়ে যাচ্ছে । এর মধ্যে কাতার অন্যতম। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ আব্দুর রহমান বিন আলে সানি গাজার ওপর ইসরায়েল যে আগ্রাসন চালিয়েছে তার প্রতি সমর্থন দেয়ার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করেছেন। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, পশ্চিমাদের এই ভূমিকার কারণে যুদ্ধ পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ব্রিটিশ পত্রিকা ফাইনান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন ।
তিনি বলেন, “পশ্চিমা প্রতিক্রিয়ায় এ অঞ্চলে বড় রকমের হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম, ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করবে পশ্চিমারা। আমরা আশা করেছিলাম, অন্য সংঘাতের ক্ষেত্রে পশ্চিমারা যে নীতি ও মানদণ্ড রক্ষা করে, এ ক্ষেত্রে তারা অন্তত তাই করবে। কিন্তু গাজা যুদ্ধকে অন্য যুদ্ধের মতো করে দেখা হয়নি।”
হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার বিষয়ে ইসরায়েলের ঘোষণাকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বাস্তবসম্মত নয় বলে মন্তব্য করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এইসব ধ্বংসযজ্ঞের পর দিন শেষে হামাসকে নির্মূল করার ঘটনা কখনই ঘটবে না। সে কারণে চলমান সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান করা ভালো বলে তিনি মত দেন।
৭ অক্টোবর হামাস হামলা চালানোর পর গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে ১৫ হাজার লোককে হত্যা করে ইসরায়েল। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলের সেনাসহ ১২০০ লোক নিহত হয়।
বিএনএ/ ওজি