25 C
আবহাওয়া
৬:১৩ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কর্ণফুলী টানেলের এক বছর

কর্ণফুলী টানেলের এক বছর

কর্ণফুলী টানেলের এক বছর

বিএনএ,চট্টগ্রাম: স্বপ্নের কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধনের বর্ষপূর্তি হতে যাচ্ছে আজ। ২০২৩ সালের শনিবার (২৮ অক্টোবর) তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সুড়ঙ্গ পথটির উদ্বোধন করেন। এই সুড়ঙ্গটি চট্টগ্রাম শহরের বাংলাদেশ নেভাল একাডেমির পাশ দিয়ে শুরু হয়ে নদীর দক্ষিণ পাড়ের আনোয়ারা প্রান্তের চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড এবং কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড কারখানার মাঝামাঝি স্থান দিয়ে গিয়ে নদীর অপর প্রান্তে পৌঁছে নদীর দুই তীরের অঞ্চলকে যুক্ত করেছে। এই সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক যুক্ত হয়।

টানেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছরে ১৪ লাখ ১১ হাজার ৪১২টি বিভিন্ন প্রকারের যানবাহন টানেল দিয়ে চলাচল করেছে। এর মধ্যে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস (হালকা যানবাহন) চলাচল করেছে ৭৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ, বাস ১০ শতাংশ, ট্রাক ১২ দশমিক ৪ শতাংশ ও ট্রেইলর দশমিক ৮৫ শতাংশ।
২২ অক্টোবর পর্যন্ত টানেল দিয়ে দৈনিক গড়ে যানবাহন চলাচল করেছে ৩ হাজার ৯১০টি। এতে টোল বাবদ দৈনিক গড়ে আয় হয়েছে ১০ লাখ ৩৭ হাজার ১৫৪ টাকা। এক বছরে টোল আদায় হয়েছে ৩৭ কোটি ৮৫ লাখ ৬১ হাজার ২১০ টাকা। অন্যদিকে এই টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ দৈনিক ব্যয় গড়ে সাড়ে ৩৭ লাখ ৪৬ হাজার ৯৯৩ টাকা। রক্ষণাবেক্ষণে এক বছরে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৩৬ কোটি টাকার বেশি। কর্তৃপক্ষের দৈনিক লোকসান ২৭ লাখ ৯ হাজার ৮৩৯ টাকা। সে হিসাবে ১ বছরে লোকসান ৯৮ কোটি ৯০ লাখ ১ হাজার ২৩৫ টাকা।

জানা যায়, টানেল নির্মাণের আগে করা সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছিল, চালুর প্রথম বছর প্রতিদিন গড়ে যানবাহন চলবে ১৭ হাজারের বেশি। কিন্তু ২২ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজার ৯১০টি যানবাহন এ টানেল ব্যবহার করেছে। মূলত সমীক্ষার সঙ্গে বাস্তবতার মিল না থাকায় এই অবস্থা। তবে কক্সবাজার ও মাতারবাড়ীকে টানেলের সঙ্গে দ্রুত যুক্ত করার বিষয়ে কাজ চলছে। এটা সম্ভব হলে যানবাহন চলাচল এবং আয় বাড়বে বলে মনে করে কর্তৃপক্ষ। কর্ণফুলী টানেলে আশানুরূপ গাড়ি চলাচল না থাকায় শুধুমাত্র রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ প্রতিদিন লোকসান গুণতে হচ্ছে প্রায় ২৬ লাখ টাকা। প্রতিদিন যে পরিমাণ গাড়ি চলাচল করছে তা প্রাথমিক সমীক্ষার মাত্র ১৮ শতাংশ।

স্থানীয়রা জানান, টানেলকে কেন্দ্র করে চায়না ইকোনমিক জোন চালু করার লক্ষ্যে গত ৫ বছরে এ শিল্পজোনের নামে ভূমি অধিগ্রহণ করে চারপাশে বেড়া দিয়ে জমি দখল করে রাখা ছাড়া আর কিছু হয়নি। চায়না ইকোনোমিক জোন চালুসহ এ এলাকায় ব্যবসা–বাণিজ্যের সম্প্রসারণে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ না নিলে টানেলের আয় বাড়ানো সম্ভব নয়। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়াকে গাড়ি কম চলাচলের অন্যতম কারণ হিসাবে দেখছেন তারা।

বিএনএনিউজ/ আরএস/শাম্মী

Loading


শিরোনাম বিএনএ