বিএনএ, সাভার: ঢাকায় রাজনৈতিক দুই দলের মহাসমাবেশে ঘিরে সাভারে রাজধানীর প্রবেশমুখে পুলিশ চেকপোস্টে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। বাস, মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়িসহ প্রায় সবধরণের যানবাহনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এসময় সবার পরিচয়পত্র যাচাই করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আটক করা হয়েছে জামায়াত-বিএনপির প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। এদিকে ভোর থেকেই সড়কে যানবাহন সংকটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
শনিবার ভোর থেকেই আমিনবাজার এলাকায় অস্থায়ী চেকপোস্টে পুলিশকে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা গেছে।
এসময় দেখা গেছে, পুলিশ সদস্যরা ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদারের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন পরিবহনে তল্লাশি চালাচ্ছেন। পরিবহন থামিয়ে যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশিসহ তাদের পরিচয়পত্র দেখছেন পুলিশ সদস্যরা। এসময় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তল্লাশি শেষে পরিবহন গুলোকে রাজধানীতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
অপরদিকে সকাল থেকে সাভারে ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে যানবাহন সংকটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। অনেককেই দীর্ঘক্ষণ বাসের জন্য দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। আবার হঠাৎ এজটা বাসের দেখা মিললে সেটাতে উঠতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন অনেকে।
ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ হিল কাফী বলেন, রাজধানীতে আজ কাছাকাছি দুই দলের সমাবেশ থাকায় সারাদেশ থেকে কর্মীরা আসছেন। তাদের মধ্যে অনেকে বিভিন্ন মামলার আসামী রয়েছে। কর্মীদের অনেকের গ্রেপ্তারী পরোয়ানা ও মাদক মামলার রয়েছে। এছাড়া এই চেকপোস্ট থেকে ইতোপূর্বে ১০ মামলার আসামীকেও মাদকসহ আটক করা হয়েছে। এই চেকপোস্ট নিয়মিত থাকবে। তাই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের চেকপোস্ট বসিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সাভারের আমিনবাজার, বিরুলিয়া ও আশুলিয়াতে আমাদের চেকপোস্ট কার্যক্রম চলছে।
তিনি আরও জানান, আশুলিয়া থেকে বাসের যাত্রী বিএনপি-জামায়াতের অনেকজন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় সন্দেহভাজন অনেককে আমরা হেফাজতে নিয়েছি। এটাকে আমরা আটক বলছি না। তবে সংখ্যাটা এখনই বলা সম্ভব না।
বিএনএ/এমএফ