বিএনএ, রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন, “শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়ন, শেখ হাসিনা মানেই আমাদের বেঁচে থাকার আলোর রশ্মি। বর্তমানে প্রবাসী মোড়ল, যাদের মোড়লপনায় আমরা বিভ্রান্ত হচ্ছি। যারা আমাদেরকে ২০০ বছর শাসন করে গেছে। অনেক দেশ যাদের উপনিবেশীয়, অনেক মহাদেশের মধ্যে যাদের উপনিবেশ রয়েছে তাদেরকে আমরা বৈশ্বিক মোড়ল হিসেবে দেখতে পাচ্ছি।”
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনের শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
রাবি উপাচার্য আরও বলেন, “যে মমতাময়ী মায়ের হাত ধরে বাংলাদেশ এগোচ্ছে তাতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তাদের আস্ফালন আমার কাছে দুষ্টু রাখালের গল্পের মতোই মনে হয়। তারা জানেনা, ১৯৭১ সালে আমরা তথাকথিত পরাক্রমশালী এক হিংস্র বাহিনীকে পরাজিত করেছি। আমাদের যে সোপার্জিত স্বাধীনতা, এটা কারো দানে নয়।”
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন বলেন, “পুঁজিবাদ থেকে একসময় একচেটিয়া পুঁজিবাদ গড়ে ওঠে, কিন্তু পুঁজিবাদ এবং একচেটিয়া পুঁজিবাদ গ্রহণ করা দুটি ভিন্ন বিষয়। বঙ্গবন্ধুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিলো একচেটিয়া পুঁজিবাদ গ্রহণে সম্মতি না দেওয়া; এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু কোন ছাড় দিতে রাজি ছিলেন না। কারণ পাকিস্তান আমলে ২২ পরিবার গড়ে ওঠার অভিজ্ঞতা তার মনে একদম দগ্ধভাবে গেঁথে ছিলো। বঙ্গবন্ধু একচেটিয়া পুঁজিবাদ গড়ে উঠতে দিলে তার মালিকরা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হয়ে উঠতো এবং ছোট, বড়, মাঝারি কোন পুঁজিরই বিকাশ ঘটতো না।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার অধ্যাপক আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ওবায়দুর রহমান প্রামাণিক, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকসহ প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, সকাল ১০ টায় শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।
বিএনএ/সাকিব, ওজি