29 C
আবহাওয়া
৮:৫৯ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » জাবিতে শেখ হাসিনার জন্মোৎসব পালিত

জাবিতে শেখ হাসিনার জন্মোৎসব পালিত

জাবিতে শেখ হাসিনার জন্মোৎসব পালিত

বিএনএ,জাবিঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শেখ হাসিনা হলের উদ্যোগে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা: কর্ম ও জীবন’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে কেক কেটে ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। আনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আলম, প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক বশির উদ্দিন আহমেদ।

এছাড়াও বিশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মনজুরুল হক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আক্তার। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ জনাব হোসনে আরা।

অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক বশির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শেখ হাসিনা তার রাজনৈতিক শিক্ষা পরিবার থেকে পেয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন ছিলেন। বদরুন্নেসা কলেজে অধ্যায়নকালে তিনি ছাত্রলীগের নেতা হন। স্বাধীনতা পূর্বে সকল আন্দোলনে শেখ হাসিনা রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তার ভিশন ২১ ও ভিশন ৪১ কে বাস্তবায়নে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাকে নিয়ে গবেষণার সুযোগ আছে। একটা সময় বাংলাদেশ অর্থনীতি খুবই ভঙ্গুর ছিলো। সেই ভঙ্গুর অবস্থা কাটিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের এখন সারাবিশ্বের অর্থনীতির রোল মডেল করেছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে পেরেছেন। তার যোগ্য নেতৃত্ব কোভিড মোকাবেলা করে ভ্যাক্সিন হিরো হিসেবে সারাবিশ্বে সুনাম অর্জন করেছেন। কিছুদিন আগে তিনি জাতিসংঘ কর্তৃক শ্রেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।’ লিটনঃ শেখ হাসিনার কর্ম পরিকল্পনা সকল রাষ্ট্র নায়ক থেকে সেরা। শেখ হাসিনার জন্য আমরা মনে সাহজ জুগিয়ে লড়তে পারি। দুযোর্গ মোকাবেলায় তিনি। করোনায় সারা বিশ্ব মুখ থুবড়ে পড়েছে। শেখ হাসিনা শক্ত হাতে তা মোকাবেলা করেছে। তিনি মানুষের চিন্তায় রাতে ঘুমোতে পারে না। তিনি স্বপ্নের পদ্মাসেতু তৈরি করেছেন বাংলাদেশে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আলম বলেন, ‘ছাত্র থাকাকালীন সময়ে শেখ হাসিনা সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা পর দেশে ফিরে আসার পর বাংলাদেশের তেমন কোনো সম্পদ ছিলো না। পাকিস্তানিরা এ জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে আমাদের সম্পদ সূমহ ধ্বংস করে দিয়েছে। সেই সময় বঙ্গবন্ধু সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিল্প কারখানা সরকারি করণ করে। তিনি সরকারি স্কুল কলেজ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গুলোর ছেলে মেয়েরা যাতে শিক্ষা লাভ করতে পারে সে দিকে দৃষ্টি দিয়েছেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে তাকে নিহত হন।

তবে সৌভাগ্যে বিষয়, বিদেশে অবস্থানের কারণে শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন সে সময় প্রাণে বেঁচে যায়। পরে ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর আওয়ামী লীগের সভানেত্রী পদে অভীষ্ট হন। তার আগে তিনি ভারতে নির্বাসিত ছিলেন। দেশে ফিরে তিনি পুনরায় স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে গনতান্ত্রিক আন্দোলনে শুরু কারেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করার জন্য তার উপর বিভিন্ন সময়ে সশস্ত্র হামলা হয়। সর্বশেষ ২০০৪ সালে ঢাকায় সন্ত্রাস বিরোধী এক সভায় তার উপর গ্রেনেড হামলা হয়। সে সময় মানব ঢালের কারণে তিনি বেঁচে যান। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকা কালীন সময়ে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এমন কোনো গ্রাম পাওয়া যাবে না এদেশে। শিক্ষাক্ষেত্রেও অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে বিশাল অর্থ প্রদান করেন। যাতে এখানে শিক্ষা গবেষণায় উন্নয়ন করা সম্ভব হয়।’

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদের সরকারদলীয় প্রধান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। তিনি টানা তিনবার ও সর্বমোট চারবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হন।

বিএনএ/সানভীর, ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ