বিএনএ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে আগ্রাবাদস্থ শেখ মুজিব রোডে বাদামতলী মোড় এলাকায় ড্রেনে পড়ে সাদিয়া(২০) নামে শহরের আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী মৃত্যুবরণ করেছে। সোমবার(২৭সেপ্টেম্বর) রাত দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিকটস্থ মাজার গেইট এলাকা হতে চশমা কিনে মামার সঙ্গে বাসায় ফিরছিলেন। প্রায় সাড়ে ৪ঘন্টা পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ড্রেন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করতে সমর্থ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ড্রেনের পাশ দিয়ে বাদামতলী মোড়ের দিকে যাওয়ার সময় হঠাৎ করে সাদিয়া ড্রেনে পড়ে যায়। তার মামাও তৎক্ষণাৎ ড্রেনে নেমে পড়লেও তাকে খুঁজে পান নি।
ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তার খোঁজে অভিযান অব্যাহত রাখে।এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজ চলার কারণে বর্তমানে শেখ মুজিব রোডের অবস্থা খুবই করুন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজ সাদিয়ার বাড়ি হালিশহর মইন্যাপাড়ায়। ড্রেনের অনেক ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে রাত ২টা ৫০মিনিট নাগাদ ড্রেনেই ওই কলেজ ছাত্রীর মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা মরদেহ উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন :
শেখ মুজিব সড়কের চৌমুহনী থেকে বাদামতলী মোড় পর্যন্ত করুণ অবস্থা
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা জানান, রাত সোয়া ১০টায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাদিয়ার সন্ধান অভিযান শুরু করা হয়।
ছবি: আগ্রাবাদ শেখ মুজিব সড়কের মাজার গেইট এলাকার। ছবির ডানপাশে চশমার দোকান থেকে নিঁখোজ সাদিয়া চশমা কেনেন বলে তার মামা জানিয়েছেন।
স্থানীয় পথচারিরা জানান, গতকাল শনিবারও একজন মহিলঅ ওই ড্রেনে পড়ে যান। তবে তিনি স্থানীয়দের সহায়তায় সৌভাগ্যবশত উপরে ওঠে আসতে সক্ষম হন।
উল্লেখ, এর গত ২৫শে আগস্ট মুরাদপুর পুলিশ বক্সের কাছে ড্রেনে পরে সালেহ আহমদ নামে এক সবজি ব্যবসায়ি নিঁখোজ হন। ৪দিন টানা তল্লাশীর পরও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা তাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়।
আরও পড়ুন :এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজ
চট্টগ্রাম শহরের মাঝামাঝি স্থান লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে টানেল রোড পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজ চলছে।পাঁচ ধাপে ভাগ করে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর মধ্যে লালখান বাজার-বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত প্রথম ধাপ, বারিক বিল্ডিং-সল্টগোলা ক্রসিং দ্বিতীয় ধাপ, সল্টগোলা ক্রসিং থেকে সিমেন্ট ক্রসিং তৃতীয় ধাপ, সিমেন্ট ক্রসিং থেকে কাঠগড় চতুর্থ ধাপ এবং কাঠগড় থেকে পতেঙ্গার ল্যান্ডিং পয়েন্ট পর্যন্ত পঞ্চম ধাপ।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম,এসজিএন।