বিএনএ, ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনা এবং অর্থ আত্মসাৎকারীদের দেশি-বিদেশি সম্পদ অধিগ্রহণ করতে কাজ করছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বুধবার (১৮ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নানা দুর্নীতির মাধ্যমে শুধু ব্যাংকিং খাত থেকে পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ লক্ষাধিক কোটি টাকার ওপরে বলে ধারণা করা যায়। ব্যাংকগুলোর নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বিএফআইইউ, পুলিশের সিআইডি ও দুদকের সহায়তায় আত্মসাৎকারীদের স্থানীয় সম্পদ অধিগ্রহণ ও বিদেশে পাচার করা অর্থ প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা অর্থ পুনরুদ্ধারের জন্য বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার সহায়তা চেয়ে ইতোমধ্যে যোগাযোগ শুরু করা হয়েছে। কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণের অর্থ পাচার করেছেন। অর্থপাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে । ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংকের পর্ষদ এরইমধ্যে পুনর্গঠন করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এসব আত্মসাৎ করা অর্থের প্রকৃত পরিমাণ নির্ণয়ে অডিট শুরু করবে। প্রতিটি ব্যাংকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত চিত্র প্রকাশ এবং ব্যাংকগুলোর পুনর্গঠনের জন্য ছয়মাসের মধ্যে একটি বাস্তবায়নযোগ্য রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হবে। আর সেইজন্য সরকার দ্রুতই একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সরকার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পরিপালনে সক্ষম একটি শক্তিশালী ব্যাংকিং খাত গড়ে তুলতে চায়। আর সেইজন্য আন্তর্জাতিক কারিগরি ও অর্থের সহায়তা কামনা করছে সরকার।
বিএনএনিউজ/ রেহানা/ বিএম/হাসনা