বিএনএ ডেস্ক: অনেক চেষ্টার পরেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন হচ্ছে না। তবে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
রোববার (২৮ আগস্ট) সকালে রোহিঙ্গাদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির ৫ম সভা শেষে এ কথা জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, যুক্তরাষ্ট্রসহ কোনো দেশ যদি রোহিঙ্গাদের নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে, তারা কী পরিমাণ নেবে তা খতিয়ে দেখতে হবে। এখনও কোনো প্রস্তাব আসেনি উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটা নিয়ে কাজ করছে। কেউ আগ্রহ প্রকাশ করলে তাদের অধিক সংখ্যক রোহিঙ্গাদের নেয়ার জন্য বলবো। অধিক সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিলে এ সমস্যা দ্রুত শেষ হবে।
আসাদুজ্জামান বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে ডে ওয়ান থেকেই আলোচনা চলছে। তখনকার সরকার প্রধান অং সান সুচির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনা হয়েছে। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও কথা বলেছেন। আশা করি, এ সমস্যা আমরা শেষ করতে পারব।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন অবস্থান করায় আমরা একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাঝে মধ্যেই রক্তপাত, সন্ত্রাস দেখছি। মিয়ানমার থেকে মাদকের আনাগোনাও লক্ষ্য করছি। অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস কর্মকাণ্ড বন্ধে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অভিযানে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার তো আছেই, প্রয়োজনে সেনাসদস্যরাও এতে অংশ নেবেন। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে যৌথভাবে ক্যাম্পের ভেতর এবং বাহিরে টহল ও অভিযান চালানো হবে।
মন্ত্রী জানান, ক্যাম্পের ভেতরে জন্মনিরোধের জন্য একটি এসওপি তৈরির কাজ চলছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এ নিয়ে কাজ করছে। সচেতন বাড়াতে ঘরে ঘরে স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নাফ নদী মাদক আনা-নেওয়ার রুট। সেখানে মাছ ধরার ট্রলারের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করতে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিএনএ/এ আর