বিএনএ, খুলনা : বৈশ্বিক মহামারি করোনার সংকট কাটিয়ে ও বর্ষা মৌসুম শেষে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য পর্যটকদের অনুমতি দেওয়া হবে।
নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর সুন্দরবনের করমজল, হারবাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, হিরণ পয়েন্ট, দুবলা ও নীলকমলসহ সমুদ্র-তীরবর্তী এবং বনাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে লঞ্চ, ট্যুরবোট, ট্রলার ও বিভিন্ন নৌযানে চড়ে যেতে পারবেন দেশিবিদেশি পর্যটকরা।
এদিকে সুন্দরবনে পর্যটকদের পরিবেশ সচেতনভাবে ভ্রমণে সহায়তার জন্য ট্যুর অপারেটরদের প্রশিক্ষণের (ট্রেনিং) উদ্যোগ নিয়েছে সুন্দরবন বন বিভাগ। ভবিষ্যতে যেসব ট্যুর অপারেটর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে না তাদের সুন্দরবনে পর্যটক নিয়ে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে না।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন জানান, সুন্দরবনে পরিবেশসচেতন ভ্রমণে পর্যটকদের সহায়তা করার জন্য বন বিভাগের পক্ষ থেকে ট্যুর অপারেটরদের তিন থেকে চার দিনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে এ প্রশিক্ষণ শুরু করার চিন্তাভাবনা চলছে। যারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন, বন বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের সনদপত্র (সার্টিফিকেট) প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষণ না নেওয়া হলে কোনো ট্যুর অপারেটরকে ভবিষ্যতে সু্ন্দরবনে পর্যর্টক নিয়ে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে না। তিনি আরো বলেন, বন বিভাগের পক্ষ থেকে সুন্দরবন ভ্রমণ নীতিমালা-২০১৪ সংশোধন করে আরো যুগোপযোগী করার পরিকল্পনাও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বন বিভাগের।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।