ঢাকা: নামাজ , ইসলামি পরিভাষায় সেটা মূলত বোঝায় আল্লাহর নির্দেশে নির্ধারিত নিয়মে প্রতিদিন পাঁচবার ইবাদত করার একটি পদ্ধতি। সালাত ফরজ হওয়ায় প্রত্যেক মুসলমানকে প্রতিদিনই ৫বার নামাজ আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২৮ জুলাই ২০২৪ ইংরেজি, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১ বাংলা, ২১ মহররম ১৪৪৬ হিজরি।
দেখে নিন ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি- ফজর: ৪টা ১ মিনিট * জোহর: ১২টা ০৮ মিনিট * আসর: ৪টা ৪৩ মিনিট * মাগরিব: ৬টা ৪৯ মিনিট * এশা: ৮টা ১২ মিনিট।
ফজর (সোমবার, ২৯ জুলাই): ৪টা ১ মিনিট।
বিভাগীয় শহরের জন্য উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগে সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে– বিয়োগ করতে হবে– চট্টগ্রাম: ৫ মিনিট * সিলেট: ৬ মিনিট যোগ করতে হবে– খুলনা: ৩ মিনিট
* রাজশাহী: ৭ মিনিট * রংপুর: ৮ মিনিট * বরিশাল: ১ মিনিট
সূর্যোদয় (রোববার, ২৮ জুলাই): ৫টা ২৪ মিনিট
সালাতের বাইরের ৭টি ফরজ।
১. শরীর পাক
২. কাপড় পাক
৩. নামাযের স্থান পাক
৪. সতর আবৃত করা
৫. কেবলামুখী হয়ে দাঁড়ানো
৬. নিয়ত করা এবং
৭. ওয়াক্ত মত নামায পড়া।
মসজিদের প্রথম কাতারে যারা নামাজ আদায় করেন
যারা মসজিদে প্রথম কাতারে নামাজ আদায় করে তাদের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করে। হজরত বারা বিন আজেব (রা.) বলেন, আমি নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ প্রথম কাতারে নামাজ আদায়কারীর প্রতি রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতারা তাদের জন্য রহমতের দোয়া করেন।’ (ইবনে মাজাহ: ৯৮৭)
জানাযার নামাজ আদায় করা ফরজে কিফায়া।
জানাজার নামাজের নিয়ত
মনে মনে এ নিয়ত করবেন, ‘আমি জানাজার ফরজে কেফায়া নামাজ চার তাকবিরসহ এই ইমামের পেছনে কিবলামুখী হয়ে আদায়ের নিয়ত করছি।’
ইমাম মৃত ব্যক্তি পুরুষ কিনা মহিলা জানিয়ে দিবেন। সে মতে প্রত্যেক মুসল্লী নিয়ত করার সময় বলে নিবে মৃত ব্যক্তির জন্য (পুরুষ/মহিলা) দোয়া উল্লেখ করে নিবে।
এরপর কান পর্যন্ত হাত ওঠাবে এবং তাকবিরে তাহরিমা (আল্লাহু আকবর) বলতে হবে। এরপর সানা পড়তে হবে—
উচ্চারণ: ‘সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা, ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া জাল্লা ছানাউকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।’
অর্থ: হে আল্লাহ! সকল প্রশংসা আপনার। আপনি সব ধরনের ত্রুটিবিচ্যুতি হতে পবিত্র। আপনার নাম মঙ্গল ও বরকতপূর্ণ, আপনার মহত্ত্ব অতি বিরাট, আপনার প্রশংসা অতি মহত্ত্বপূর্ণ এবং একমাত্র আপনি ছাড়া আর কোনো প্রভু নেই।
এরপর (দ্বিতীয়) তাকবির বলে দরুদ পাঠ করবেন। এই তাকবিরে হাত ওঠাবেন না—
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিউঁ ওয়া আলা-আ-লি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আলা ইবরাহিমা ওয়া আলা–আ-লি ইবরাহিমা ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিউঁ ওয়া আলা-আ-লি মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা আলা ইবরাহিমা ওয়া আলা–আ-লি ইবরাহিমা ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ।
অর্থ: হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গের ওপর শান্তি বর্ষণ করো, যেভাবে ইবরাহিম আলাইহিস সালাম ও তাঁর পরিবারবর্গের ওপর শান্তি বর্ষণ করেছিলে। নিশ্চয়ই তুমি অতি প্রশংসিত মহিমান্বিত। হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গের ওপর বরকত দান করো, যেভাবে ইবরাহিম আলাইহিস সালাম ও তাঁর পরিবারবর্গের ওপর বরকত দান করেছিলে। নিশ্চয়ই তুমি অতি প্রশংসিত মহিমান্বিত।’ (নাসাঈ ১২৯১) . সংগৃহীত।
এসজিএন