বিএনএ, ঢাকা : পানির স্তর থেকে উচ্চতা সেতুর উচ্চতা কম হওয়ায় নৌচলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এ কারণে ঢাকার মোহাম্মদপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত শহীদ বুদ্ধিজীবী (বছিলা ব্রিজ) সেতুটি ভেঙ্গে ফেলা হবে।
বুধবার (২৮ জুলাই) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সরকারের এমন চিন্তার-ভাবনার কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে ‘দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আয়রন ব্রিজ পুনঃনির্মাণ-পুনর্বাসন (১ম সংশোধিত)’ শীর্ষক একটি প্রকল্প নিয়ে আলোচনার সময় এসব কথার অবতারণা হয়। প্রধানমন্ত্রী এটি আগেও বহুবার বলেছেন, (আজ) আবারও জোর দিয়ে বলেছেন, যে আমরা কালভার্ট, সেতু তৈরি করতে গিয়ে নৌপথ অচল করে ফেলেছি।”
তিনি বলেন, “আপনারা জানেন বসিলা সেতুটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নদীর ওপর হয়েছে। এত গুরুত্বপূর্ণ নদী কিন্তু এখানে এখন বর্ষাকালে কার্গোগুলো আসতে পারে না। ২০০৮ সালে উদ্বোধন করা এই সেতুটি এখন আবার ভাঙার কথা চিন্তা করা হচ্ছে, এটা যথাযথ উঁচু করার জন্য। এটা তো জাতীয় অপচয়।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বৈঠকে এই প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন পণ্যবাহী নৌকাসহ বিভিন্ন নৌকা যেন চলাচল করতে পারে এমন উঁচু করে সেতু তৈরি করতে হবে। আমাদের জোয়ারভাটার দেশ, পানি বাড়ে কমে। তাই প্রয়োজনে বিআইডব্লিউটিএর অনুমতি নিয়ে এটা সতর্ক হয়ে করতে হবে।“
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকে প্রায় ২ হাজার ৫৭৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয় সংবলিত ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে দুই হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আয়রন ব্রিজ পুনর্নির্মাণ/পুনর্বাসন’ সংশোধন প্রকল্পও রয়েছে। আগের এক হাজার ৮৩৫ কোটি ৭০ লাখ টাকার প্রকল্প বাড়িয়ে দুই হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা করা হয়েছে। এই প্রকল্প নিয়ে আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণে উচ্চতা ঠিক রাখার নির্দেশনা দেন। পরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি উদ্বোধন করেন। বছিলা এলাকাটি রাজধানীর সঙ্গে কেরাণীগঞ্জের সংযোগ স্থাপন করেছে। জানা গেছে, ৮৪ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটির দৈর্ঘ ৭০৮ মিটার ও প্রস্থ ১০ মিটার।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।