বিএনএ, বিশ্ব ডেস্ক: ঘরের সামনে ছাগলটিকে বাঁধা না দেখতে পেয়ে আজহার হোসেন ক’জন প্রতিবেশিকে নিয়ে খুঁজতে বের হন। এক পর্যায়ে তারা দেখতে পান ৫জন লোক তার ছাগলটিকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করছে। দূর থেকে তাদের দেখতে পেয়ে নির্যাতনকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। আজহার হোসেন যখন ছাগলটির কাছে পৌঁছান, ততক্ষণে সেটি মরে গেছে।
তারা দেখতে পান পোষা ছাগলটিকে ওইব্যক্তিরা যৌন নিপীড়ন ও নির্যাতন করে। নির্যাতনের কারণে ছাগলটির মৃত্যু হয়।
ঘটনাটি পাকিস্তানের ওকারা শহরের সাতঘরা এলাকার। স্থানীয় পুলিশ স্টেশনের কর্মকর্তা মুহাম্মদ ওসমান সাংবাদিকদের জানান, ছাগলটির মৃতদেহ উদ্ধার করে একটি পশু হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ময়নাতদন্ত করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ‘ছাগলটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে।’
আজহার হোসেন পুলিশকে বলেছেন, তার ছাগলটির মূল্য ছিল ৬০ হাজার পাকিস্তানি রুপি। ছাগলটি তার ঘরের সামনে বাঁধা ছিল। অভিযুক্তরা বাঁধন খুলে একটি ফাঁকা স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে ছাগলটিকে ধর্ষণ করে তারা। এ ঘটনায় পাকিস্তানের দণ্ডবিধির ৪২৯ ও ৩৭৭ ধারায় ৫জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশের কর্মকর্তা মুহাম্মদ উসমান সাংবাদিকদের আরও বলেন, একজন মানুষের সঙ্গে এ ধরণের অপরাধ ঘটলে যতটা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হতো, এই ক্ষেত্রেও সেই একই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হবে।
বিএনএনিউজ, এসজিএন