বিএনএ, ঈদগাঁও(কক্সবাজার): চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি ঈদগাঁও থানা হিসেবে যাত্রার পাঁচ মাসের মাথায় ঈদগাঁওকে উপজেলা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সোমবার ২৬ জুলাই প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) ১১৭ তম সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
উপজেলার ঘোষণা আসার পর ঈদগাঁওতে সর্বসাধারণের মাঝে ঈদের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে৷
তবে উপজেলা ঘোষণার রাত থেকেই প্রবল বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি ঢলে সদ্য ঘোষিত ঈদগাঁও উপজেলার ৯০ শতাংশ মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়লে তাদের জনজীবনে নেমে এসেছে দূর্ভোগ৷
এরই মাঝে দফার দফায় গরু চুরি নিয়ে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। চুরি কর্মকান্ড সংগঠিত হবার পরেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে প্রকৃত চোর সিন্ডিকেট চক্র। এ নিয়ে বৃহত্তর এলাকার গ্রামীণ জনপদের লোকজনের মাঝে উদ্বেগ- উৎকন্ঠা আর চরম আতংক দেখা দিয়েছে।
২৮ জুলাই বুধবার রাতে জালালাবাদে ফের গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। পালাকাটা বট্টলি পাড়ার আব্দুল কাদেরের বাড়ি থেকে ১ টি এবং ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের হোসাইন আহমেদ এর বড় ছেলে নুরুল ইসলামের বাড়ি থেকে ৩ টি গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোর সিন্ডিকেট।
সকালে গোয়াল ঘরে খাবার দিতে গিয়ে পালিত গরু দেখতে না পেয়ে দিনমজুর নুরুল ইসলামের স্ত্রীর চিৎকার ও আর্তনাদে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে চুরি হওয়া গরুগুলো বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেন৷ পরে স্থানীয় এক ইমাম খবর পাঠান গরু গুলো তার সযত্নে আছে এবং প্রকৃত মালিক এসে যেন গরুর গুলো নিয়ে যান৷
স্থানীয় মেম্বার আরমান উদ্দিন মোর্শেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,‘ফজরের জামাতে যাওয়ার সময় মৌলভি আলী আহমেদ হুজুরের নজরে পড়লে চোররা গরু ৩ টি দৌলাইন্না মুরা (স্থানীয় কবরস্থান) কবরস্থানে রেখে পালিয়ে গেলে তিনি গরু গুলো নিজের গোয়ালঘরে বেঁধে রাখেন এবং পরবর্তীতে গরুর মালিককে গরুগুলো হস্তান্তর করেন’৷
বট্টলি পাড়া থেকে চুরি হওয়া গরুর মালিক জানান, দীর্ঘদিন ধরে লালন পালন করা গরুটি এভাবে চুরি হয়ে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছি। অপর দিকে চোর সিন্ডিকেট চক্ররা এখনো অধরা রয়েছে। প্রকৃত চোরদেরকে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে।
ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু চোর আটক হয়ে সপ্তাহ খানেক যেতে না যেতেই এলাকায় ফিরে এসে ফের অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে। যার কারণে প্রচলিত আইনের প্রতি পাড়া মহল্লার গরু ব্যবসায়ীসহ লোকজনের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির পাশাপাশি আতংকে দিনযাপন করছে স্থানীয়রা।
ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হালিম জানান, ‘গরু চোর সহ অপরাধীদের গ্রেপ্তারে প্রশাসন সজাগ আছে। তিনি চোর সিন্ডিকেট রুখতে সর্বোচ্চ চেষ্টার কথা জানান৷
বিএনএ বাংলানিউজ,মোঃ রেজাউল করিম, এসজিএন