বিএনএ,জাবিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্রদল কর্মীর উপর হামলা এবং পরে আহত ওই কর্মীকে প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় সাভারের একটি ক্লিনিকে পাঠানোরও অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। সোমবার (২৭ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় ক্যাম্পাসের মুরাদ চত্ত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ছাত্রদল কর্মী হামিদুল্লাহ সালমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজিতে বিভাগের ৪৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। হামিদুল্লাহ সালমান বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি (বিএনএ) কে বলে, ‘সন্ধ্যায় আমি মুরাদ চত্ত্বরে চা খেতে বসি। সেই সময় ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী আমাকে এসে ঘেরাও করে এবং আমার পরিচয় জানতে চায়। আমি পরিচয় দিলে আমাকে নিয়ে মুরাদ চত্ত্বরের একপাশে নিয়ে আসে। এরপর আমার মোবাইল মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং কয়েকজন একসাথে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরবর্তীতে আমাকে দিয়ে জোরপূর্বক মিথ্যা স্বীকারোক্তি নিয়ে ভিডিও ধারণ করে। ঘটনার এক পর্যায়ে প্রক্টরিয়াল বডি এসে আমাকে সেখান থেকে নিয়ে যায় এবং সাভারে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করিয়ে দেয়।’
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী আররাফি চৌধুরী কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলেও তিনি বলেন, ‘আমি মারধরের ঘটনার সময়ে সেখানে আমি উপস্থিত ছিলাম না। সেখানে ছাত্রলীগের প্রায় ৩০জনের বেশি নেতাকর্মী ছিলো। কে কখন তার উপর হামলা করে থাকলে সে সম্পর্ক কিছুই বলতে পারবো না।’
পরবর্তীতে সেখানে উপস্থিত ছাত্রলীগ কর্মী সুজন (লোক প্রশাসন-৪৫) ও সাজ্জাদের (ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং-৪৫) কাছে জানতে চাওয়া হলে তারাও একই উত্তর দেয়। এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনকে, ‘ছাত্রদলের কর্মীকে মারার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এরকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি। অন্ততঃ আমি এ বিষয়ে এরকম কোনো কিছু শুনিনি। তাকে শুধু প্রক্টরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
প্রক্টর আ.স.ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যায় আমার কাছে ফোন আসে সাবেক শিক্ষার্থীদের ও বর্তমান ছাত্রদলের কর্মীদের পক্ষ থেকে। তারা আমাকে জানায় তাদের এক কর্মীকে মুরাদে হেনস্তা করা হচ্ছে। আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগীকে নিয়ে আসি। তবে সেখানে কোনো মারধরের ঘটনা দেখতে পাইনি, এমনকি ভুক্তভোগী নিজেও কোনো অভিযোগ করেনি তখন।
বিএনএ/সানভীর,এমএফ