বিএনএ, রাঙামাটি : রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পাহাড় ধসে সারাদেশের সাথে বাঘাইছড়ির সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে পানি বন্দী হয়ে পড়েছে ৬ হাজার মানুষ। দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট।
জানা যায়, টানা অতি বৃষ্টিপাতের ফলে কাচালং নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাঘাইছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে অনেকে ঘরবাড়ি-স্কুল। সড়কে পাহাড় ধসে বাঘাইছড়ি-খাগড়াছড়ি দীঘিনালা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ফলে সাজেকে আটকা পড়ছেন অর্ধশতাধিক পর্যটক।
অন্যদিকে ঝড়ো হাওয়ার কারণে রাঙামাটিতে ইন্টারনেট ও মোবাইল সংযোগ দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ লাইনের ক্ষতি হওয়ায় সব এলাকায় সংযোগ দিতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানান বিদ্যুৎ অফিস। এতে দুর্গম এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পেতে সমস্যা হচ্ছে।
সাজেক জুমঘর ইকো রিসোর্টের ব্যবস্থাপক ইয়ারং ত্রিপুরা কনক বলেন, সড়কের ওপর গাছ ও মাটি ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে, গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। তবে সব রিসোর্ট-কটেজ মিলিয়ে ৫০-৬০ জন পর্যটক সাজেকে আছেন। তারা রুমেই অবস্থান করছেন।
বাঘাইছড়ি থানার ওসি ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, সড়কের সম্পূর্ণ মাটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে সময় লাগবে।
এ বিষয়ে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন বলছেন, আমি সকাল থেকে সব জায়গায় খোঁজ নিয়েছি। বড় কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে বাঘাইছড়িতে পাহাড়ি ঢলের কারণে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নতুন করে বৃষ্টি না হলে তা নেমে যাবে বলে আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, কোথাও প্রাণহানির কোন খবর নেই। তবে সব তথ্য পাওয়ার পর সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানতে পারব।
বিএনএনিউজ/কাইমুল ইসলাম ছোটন/এইচ.এম/এইচমুন্নী