বিএনএ, ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে খুলনার দাকোপ, কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। ৭৭ হাজার বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছের চাপায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খেকে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়ে জেলার ৭৬ হাজার ৯০৪টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫২টি ওয়ার্ড সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে খুলনা মহানগরীতেও অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৪ লাখ ৫২ হাজার ২০০ মানুষ। ঘূর্ণিঝড় চলাকালে বটিয়াঘাটা উপজেলায় গাছ চাপা পড়ে লাল চাঁদ মোড়ল নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
গত রোববার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে খুলনাঞ্চলে ভারি বর্ষণ ও দমকা হাওয়া শুরু হয়। এ সময়ে গোটা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ১১টার পর থেকে এলাকা ভিত্তিক বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়া হয়। ভারী বৃষ্টির কারণে নগরীতে জন এবং যান চলাচল ছিল কম। কয়রা উপজেলার ৩টি জায়গার বাঁধ ভেঙে অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে ভেসে গেছে শতাধিক চিংড়ির ঘের, ভেঙে গেছে কয়েকশ’ কাঁচা ঘরবাড়ি ও দোকানপাট।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম তারিক উজ জামান বলেন, কয়েকটি স্থানে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। এ ছাড়া ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার তাণ্ডবে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছি।
এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে খুলনার দাকোপ উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। গত রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার শিবসা ও ঢাকী নদীর বাঁধ ভেঙে তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের কামিনীবাসিয়া গ্রামের ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা তলিয়ে যায়।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে খুলনা মহানগরীর নিম্নাঞ্চল। এ ছাড়া ঝড়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য গাছ উপড়ে পড়েছে।
বিএনএ/ ওজি/হাসনা