বিএনএ, বিশ্বডেস্ক: ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক চাল রপ্তানি ৪৪ শতাংশ কমিয়ে ৪ মিলিয়ন টন করবে ভিয়েতনাম। দেশটির সরকার খাদ্যপণ্যটি রপ্তানি কৌশল নথিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
শনিবার (২৭ মে) এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে চালের বার্ষিক রপ্তানি কমিয়ে ৪০ লাখ টনে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ভিয়েতনাম। গত বছর বিশ্ববাজারে ভিয়েতনামের চালের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৭১ লাখ টন। ভারত ও থাইল্যান্ডের পর বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক দেশ ভিয়েতনাম ।
সরকারি নথিতে উল্লেখ করা হয়, উচ্চ-মানের চালের রপ্তানি বৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
নথিতে জানানো হয়েছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বার্ষিক চাল রপ্তানি আয় ২ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসবে। গত বছর যা ছিল ৩ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার।
হো চি মিন শহরের এক চাল ব্যবসায়ী বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভিয়েতনামে ধান চাষের জমি এমনিতেই কমে এসেছে। বেশির ভাগ চাষি চিংড়ি চাষ বা অন্যান্য পেশায় গেছেন। পরিস্থিতি এমন হলেও সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা খুব আগ্রাসী বলেই মনে হচ্ছে।’
নির্দিষ্ট কিছু দেশের ওপর নির্ভরতা কমাতে চাল রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনতে চায় ভিয়েতনাম সরকার। ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন চলতি মাসে ইন্দোনেশিয়ায় আঞ্চলিক বৈঠকে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রকে বলেছেন, যুক্তিসঙ্গত মূল্যে দীর্ঘ মেয়াদে ফিলিপাইনে চাল রপ্তানি করতে ইচ্ছুক তাঁর সরকার।
ভিয়েতনামের চাল প্রক্রিয়াকরণ ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন ভিয়েতনাম ফুড অ্যাসোসিয়েশন এই বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
দেশটির সরকার বলছে, ভিয়েতনাম উচ্চ মানসম্পন্ন, সুগন্ধি ও আঠালো চাল উৎপাদনে মনোযোগ দেবে। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশটিতে নিম্নমানের চালের উৎপাদন ১৫ শতাংশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনবে।
মেকং ডেল্টা প্রদেশের চাল ব্যবসায়ী আন গিয়াং বলেন, সরকারের এই কৌশলের বাস্তবায়ন নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে। কারণ চালের উৎপাদন সরকারি সিদ্ধান্তের ওপর নয়, বরং সরবরাহ ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে।
দেশটির সরকারি শুল্ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ভিয়েতনামের চাল রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪০ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ২৯ লাখ টন হয়েছে।
বিএনএ/এমএফ