ঢাকা : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মেধাবী তরুণ শেখ জামালের হত্যাকারীদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি এবং দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ছিলেন এ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড। দুঃখজনক হলেও সত্য, আজও তারা আস্ফালন করে। শেখ জামাল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে ঘাতকদের হাতে নিহত হন।
শুক্রবার(২৮ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামালের জন্মদিন উপলক্ষ্যে বনানী কবরস্থানে তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে শহীদ শেখ জামালের জন্মদিন। জন্মদিনে তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। শহীদ শেখ জামাল ১৯৭১ সালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও শেখ রাসেলের সাথে পাকিস্তানিদের হাতে বন্দি ছিলেন। সেই বন্দিদশা থেকে তিনি পালিয়ে গিয়ে পায়ে হেঁটে নানাভাবে দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে আগরতলা গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।’
হাছান মাহমুদ আরো বলেন, পুরো ৯ মাস শেখ জামাল মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন, সম্মুখ সমরে অংশ নেন। পরবর্তীতে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তিনি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হয়েছিলেন। বিশ্ববিখ্যাত সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ব্রিটেনের স্যান্ডহার্স্ট থেকে তিনি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি একজন মেধাবী তরুণ ছিলেন। একইসঙ্গে সংস্কৃতিমনা মানুষ ছিলেন, সংস্কৃতি চর্চা করতেন। খেলাধুলার প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ ছিল।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ জামালের হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ একজন মেধাবী তরুণকে হারিয়েছে। একজন সম্ভাবনাময় তরুণ যিনি দেশকে অনেক কিছু দিতে পারতেন, দেশ গঠনে অবদান রাখতে পারতেন, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আওলাদ হোসেন শামিম, দলের জাতীয় কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দার, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।