বিএনএ, ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, হরতালে ঢাকা শহরে জ্যাম লেগে গেছে। এ অবস্থা দেখে বরং আমারই লজ্জা লাগছে। অন্যদিকে হরতাল ডেকে জাফরুল্লাহ লন্ডন চলে গেছেন।
সোমবার (২৮ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার ১৮ বছরে পদার্পণ উৎসবে শুভেচ্ছাদান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকরা হরতাল নিয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী এসব বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, বামজোট হরতাল ডেকেছে। আবার জাফরুল্লাহ চৌধুরী হরতাল ডেকে বিদেশে চলে গেছেন, তাহলে জনগণ কী করবে। যারা হরতাল ডেকেছে তাদের লজ্জা হচ্ছে কিনা জানা নেই, তবে নিজের লজ্জাবোধ হচ্ছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়েই নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। ফলে দেশেও আমদানিনির্ভর কিছু দ্রব্যের দাম বেড়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সুলভমূল্যে পণ্য দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রমজান মাস সামনে রেখে ১ কোটি মানুষকে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়া হচ্ছে।
অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার প্রশ্নে তিনি বলেন, ভোগ্যপণ্য পর্যাপ্ত মজুদ আছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন সবচেয়ে বেশি চাল মজুদ আছে এবং সমস্ত ভোগ্যপণ্য রমজানের চাহিদার চেয়ে বেশি মজুদ আছে। কেউ যদি অহেতুক দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর চেষ্টা করে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রকৃতপক্ষে সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে যাচ্ছিল। মানুষের বাধায় ফেরত এসছিলো। পরবর্তীতে ২৭ মার্চ তাকে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা পাঠ করানো হয়। মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের কর্মকান্ডে তখনকার পাকিস্তানি কর্ণেল পরবর্তীতে যিনি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান হয়েছিলেন, তিনি চিঠি লিখেছিলেন যে, তার কর্মকান্ডে পাকিস্তানিরা খুশি এবং তার স্ত্রী-পুত্র নিয়ে কোনো চিন্তা না করতে অর্থাৎ প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে জিয়াউর রহমান ছিলো পাকিস্তানিদের গুপ্তচর।
বিএনএ/এমএফ