30 C
আবহাওয়া
১২:৩৫ অপরাহ্ণ - আগস্ট ১৪, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » চুয়েটে শরীরচর্চা কেন্দ্র আদৌ কি চালু হবে?

চুয়েটে শরীরচর্চা কেন্দ্র আদৌ কি চালু হবে?


।। মোহাম্মদ ইয়াসির আফনান।।

বিএনএ, চুয়েট: চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের দক্ষিণ-পশ্চিম কর্ণারে নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন জিমনেসিয়াম তথা শরীরচর্চা কেন্দ্র। নির্ধারিত বাজেট ও তারিখ ঘোষণার পর ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে ইয়াকুব এন্ড ব্রাদার্স নামক ঠিকাদারী এক প্রতিষ্ঠান ভবনটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার চুক্তি গ্রহণ করে। এরপর একই সালের ২রা অক্টোবর এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় এক বছরের কম সময় ব্যবধানে ব্যায়ামাগার ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০২২ সালের ১৫ জুন।

চুক্তি প্রকল্পের মেয়াদ শেষের ১৫ দিন আগে নির্মাণ কাজ শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর বরাবর হস্তান্তর করে ঠিকাদারী সেই প্রতিষ্ঠানটি। নির্ধারিত সময়ের আগে কাজ শেষ হলেও ব্যয়ামাগারটি চালু করার কোনো উদ্যোগ এখনও নিতে পারে নি কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে প্রায় দেড় বছর ধরে অকেজো পরে আছে নির্মিত এই ভবনটি।

নবনির্মিত চুয়েটের শরীরচর্চা কেন্দ্র
ব্যয়ামাগারটি কবে নাগাদ চালু করা হতে পারে তা জানতে চাইলে চুয়েটের প্রকৌশল দপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের জায়গা থেকে নির্মাণ কাজ শেষ করেছি। কিন্তু সেটা চালু করার জন্যে আগে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কিনতে হবে। সেগুলো কেনার পরই জিমনেসিয়ামটি চালু করা সম্ভব হবে।

এদিকে শরীরচর্চা কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, সরঞ্জামাদি কেনাকাটা ও যাবতীয় সাজগোজ বিষয়ক পরবর্তী সকল পদক্ষেপ নেয়ার দায়িত্বে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর (পি এন্ড ডি)। শরীর চর্চাকেন্দ্রের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কবে নাগাদ কেনা হবে সেই বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়েটের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ তারেকুল আলম বলেন, জিমনেসিয়ামটির নির্মাণ কাজ ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির খরচ সহ একটি বাজেট সরকারের কাছে পাঠানো হলে নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে কম টাকা অনুমোদিত হয়। যার দরুণ সবদিক বিবেচনা করে আমরা যন্ত্রপাতি কেনার টাকা সেখান থেকে বাদ দিই।

তিনি আরও বলেন, যন্ত্রপাতির খরচ বাবদ টাকা অন্যান্য রেভিনিউ খাত থেকে নেওয়ার ব্যবস্থা করবো। আমাদের কাছে উক্ত কাজের জন্যে টেন্ডারও জমা পড়েছে। সবকিছু যাচাই-বাছাই করে শীঘ্রই যন্ত্রপাতি কেনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। আমরা আশা রাখছি আগামী ৬-৭ মাসের মধ্যে জিমনেসিয়ামটি চালু করা সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য যে, চুয়েটের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের জন্য নবনির্মিত এই জিমনেসিয়াম ভবনটির নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। শরীরচর্চার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়াও ইনডোর বিভিন্ন গেমসের ব্যবস্থা থাকার কথা রয়েছে চুয়েটের এই ব্যায়ামাগারটিতে।

বিএনএ/এমএফ/হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ