বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর “ডট গ্যাং” নামক কিশোর গ্যাং গ্রুপের প্রধান মিমসহ তার ৬ সহযোগী আটক করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) নগরীর চকবাজারের বালি আর্কেড শপিং সেন্টারের সামনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন- হোসাইনুল আমিন মিম (১৬), সামিউল ইসলাম (১৬), আহনাফ শাহরিয়ার(১৬), মো. শরিফুল ইসলাম (১৬), শানিপ শাহীদ (১৬), মাশহাদ সিদ্দিকী (১৬) ও আবু তারেক (১৬)।
র্যাব জানায়, আটককৃতদের মধ্যে আসামি হোসাইনুল আমিন প্রকাশ মিম মূলত এই গ্রুফটি লিড দিত। “ডট গ্যাং” নামের ফেসবুক এবং হোয়াটস্যাপ গ্রুপ সে নিজে কন্ট্রোল করতো। সে ছিল চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার এলাকার ত্রাশ। মিমের নেতৃত্বে এই গ্রুপটি চট্টগ্রামের জামালখান এবং চকবাজার এলাকায় অনেক ছিনতাই, চাঁদাবাজি এবং হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তার নামে চট্টগ্রামের চকবাজার থানায় একটি সাধারন ডায়েরি লিপিবদ্ধ আছে। মিমের বাবা একজন ডাক্তার এবং মা চাকুরিজীবী। দুই ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল ছোট।
র্যাব আরও জানায়, তারা সবাই চট্টগ্রামের স্বনামধন্য স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র। এদের মধ্যে চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ জন, চট্টগ্রাম মুসলিম সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২ জন এবং নাসিরাবাদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২ জন।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. মাহবুব আলম জানান, তারা সবাই চট্টগ্রামের একটি কোচিং সেন্টারের নিয়মিত ছাত্র ছিল। সেখানে থেকে তাদের সবার সাথে পরিচয় এবং একসাথে চলাফেরা ও আড্ডা দেওয়া শুরু হয়। আড্ডা দেওয়ার সময় কথিত একটি গ্রুপ তাদের কাজে কর্মে বাধা দিতে থাকে এবং অনেক মারধরও করে। মূলত এখান থেকে “ডট গ্যাং” গ্রুপটির সৃষ্টি ও কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম থেকেই গ্রুপটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল হোসাইনুল আমিন মিম।
তিনি আরও জানান, মিম তার নিজের নামের একটি পেইজ এবং হোয়াটস্যাপ এ একটি গ্রুপ তৈরি করে সেখানে তাদের কার্যক্রমের বিভিন্ন স্থীর চিত্র এবং ভিডিও চিত্র আপলোড করত। তারা তাদের সকল প্রকার অপকর্মের ভিডিও গুলো পেইজে আপলোড করে ফলোয়ার্স বাড়ানোসহ সুনাম এবং খ্যাতি অর্জন করতে চেয়েছিল। এছাড়াও তারা চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে ইভটিজিং, ছিনতাই, দখলবাজি, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড সংগঠিত করেছে। তাদের এরুপ কর্মকাণ্ডে স্থানীয় বড় ভাইরা মদদ দিচ্ছে বলে জানা যায়। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএনএ/এমএফ