বিএনএ,ঢাকা:চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভোটের দিন বিএনপি সহিংসতা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার জন্য যেভাবে মাঠে থাকা দরকার ছিল দলটির নেতাকর্মীরা সেভাবে ছিল না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের আরও বলেন,বিএনপির প্রার্থীরা সহিংসতা করে ইভিএম মেশিনও ভেঙ্গে দিয়েছে।নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলেও শেষের দিকে তারা হাল ছেড়ে দিয়ে ঘরে বসে ছিল।তবে নির্বাচনের দিন তারা কিছু সহিংসতা করেছে,বিশেষ করে তাদের কাউন্সিলর প্রার্থীরা বিভিন্ন জায়গায় তারা আক্রমণ চালিয়েছে।তাদের হামলায় মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলামের ছেলেসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।এর মধ্যে একটি ঘটনা ভাই-ভাইয়ের মধ্যে,এক ভাই আরেক ভাইকে হত্যা করেছে।
হাছান মাহমুদ বলেন,১৯৯৪ সালের পর থেকে বিএনপি কখনো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জয়লাভ করেনি।আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল আলমকে একবার হায়ারে খেলতে নিয়ে দলটি জয় পেয়েছিল।তখন কিন্তু প্রতীকবিহীন নির্বাচন হয়েছে।যেহেতু তিনি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে কাজ করেছেন এবং বঙ্গমাতার নামে একটি ফাউন্ডেশন করেছেন সেটির অধীনে একটি স্কুল এখনও চালান।সে কারণে আওয়ামী লীগের বহু লোক তার পক্ষে কাজ করেছে।হায়ারে একজন প্লেয়ার ভাড়া করে একবার একটা রেজাল্ট পেয়েছিল, ৯৪ সালের পর থেকে আসলে তারা কোনো ফল পায়নি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন,এবারও বিএনপির কোনো কাউন্সিলর প্রার্থী জয়লাভ করেনি।নির্বাচনের সময় তারা এজেন্টকে বের করে দেয়ার অভিযোগ করছে, কিন্তু এজেন্ট তো যায়নি, কাকে বের করবে।বেশিরভাগ জায়গায় বিএনপির এজেন্ট যায়নি।সুতরাং যে অভিযোগগুলো করছে এগুলো মুখ রক্ষার জন্য অভিযোগ।করোনার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে বলে জানান তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন,সার্বিকভাবে বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সব সময় ছোট খাটো ঘটনা ঘটেছে।এটি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটে।কলকাতা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় এবং ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ১৯ জন মানুষ মারা গেছেন।সে ধরনের ঘটনাতো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঘটেনি।ভোটার টার্নআউট যদিও কম, তবে করোনার মধ্যে সেটি আশা করাও সঠিক নয় বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।
বিএনএনিউজ/আরকেসি