21 C
আবহাওয়া
৪:৪৩ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » করোনা পরিস্থিতিতেও উত্তরাঞ্চলে চা উৎপাদনে রেকর্ড !

করোনা পরিস্থিতিতেও উত্তরাঞ্চলে চা উৎপাদনে রেকর্ড !

করোনা পরিস্থিতিতেও উত্তরাঞ্চলে চা উৎপাদনে রেকর্ড !

বিএনএ,দিনাজপুর: দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়, ঠাকুরগাও,দিনাজপুর,লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে চা উৎপাদনে এক নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও নতুন এই রেকর্ড চা শ্রমিক –মালিকদের অনুপ্রাণিত করেছে।তাই,আবার নতুন করে অনেকেই চা বাগান গড়ে তুলছেন ।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে সমতলের ১০টি চা বাগান ও ৭ সহস্রাধিক ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান থেকে মোট ১ কোটি ৩ লাখ অর্থাৎ ১০.৩০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। এ বছরে চা জাতীয় উৎপাদন হয়েছে ৮৬.৩৯ মিলিয়ন কেজি। অর্থাৎ উত্তরাঞ্চলের সমতলের চা বাগান থেকে ১১.৯২ শতাংশ জাতীয় উৎপাদনে যুক্ত হয়েছে।

এক প্রেস বিজ্ঞোপ্তিতে চা বোর্ড পঞ্চগড়ের প্রকল্প পরিচালক ও ঊর্ধবতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন জানান, ২০২০ সালে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায়  মোট ১০,১৭০.৫৭ একর জমিতে চা চাষ হয়েছে।উক্ত চা বাগানসমূহ থেকে ২০২০ সালে ৫,১২,৮৩,৩৮৬ কেজি সবুজ চা পাতা উত্তোলন করা হয়। যা থেকে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ের ১৮টি চলমান চা কারখানায় ১ কোটি ৩ লাখ কেজি চা উৎপন্ন হয়েছে। ২০১৯ সালে উত্তরবঙ্গে চা আবাদীর পরিমাণ ছিল ৮৬৮০.৮৬ একর ও চা উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৯৫.৯৯ লাখ কেজি। বিগত বছরের তুলনায় ২০২০ সালে ১,৪৮৯.৮৯ একর চা আবাদী বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ৭.১১ লাখ কেজি চা বেশি উৎপন্ন হয়েছে।

করোনা পরিস্থিতিতেও উত্তরাঞ্চলে চা উৎপাদনে রেকর্ড !

বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল জহিরুল ইসলাম এক বার্তায় জানান, করোনা পরিস্থিতিতেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের সকল চা বাগানের সার্বিক কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। উৎপাদনের পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিধি মেনে চা নিলাম কেন্দ্র চালু রাখা, সঠিক সময়ে ভর্তুকি মূল্যে সার বিতরণ, বাগানে কঠোরভাবে করোনা প্রটোকল নিশ্চিতকরণ, চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, রেশন এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের ফলে ২০২০ সালে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। তিনি বলেন, উত্তরের জেলাগুলাতে ক্ষুদ্র চা চাষীদের দোরগোড়ায় প্রশিক্ষণ সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ‘ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুলে’র মাধ্যমে চা আবাদ বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহের ফলে সমতলের চা বাগান ও ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান থেকে এ বছর রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।

পঞ্চগড় চা বোর্ডের ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন জানান, সমতল ভূমিতে চা চাষের জন্য পঞ্চগড় ও এর পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এলাকা। দিন দিন উত্তরাঞ্চলে চা চাষ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চা চাষ সম্প্রসারণের জন্য চাষীদের বিভিন্ন সহায়তার মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। চাষিদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান দিতে ইতিমধ্যে ‘দুটি পাতা একটি কুঁড়ি’নামে একটি মোবাইল অ্যাপস চালু করা হয়েছে। এ আঞ্চলিক কার্যালয়ে একটি পেস্ট ম্যানেজমেন্ট ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে চা চাষীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, চাষের নানান রোগবালাই ও পোকা দমনে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সহায়তা দেয়া হয়। এ বছর ক্ষুদ্র চাষিরা তাদের বাগানের উৎপাদিত কাঁচা পাতার ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় তারা চা চাষে উৎসাহিত হয়েছে। চা বোর্ডের পরামর্শ ও সহযোগিতায় বাগানের যত্ন নিয়েছে উদ্যোক্তরা। আগামিতে চা উৎপাদনে আরও  রেকর্ড হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

বিএনএনিউজ/এস শাহী,আরকেসি

Loading


শিরোনাম বিএনএ