বিএনএ, ঢাকা : বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেছেন, তার দেশ ঢাকাকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের কথা বিবেচনা করবে। ২০২৩ সালে উভয় দেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫১তম বার্ষিকী উদযাপন করবে।
তিনি এক বার্তায় বলেন, “বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বন্ধু হিসেবে, আমরা বাংলাদেশ যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে সেগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতা ও সহায়তার বিষয় বিবেচনা করতে চাই।”
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে এবং সরকার এ লক্ষ্য অর্জনে জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, “২০২৩ সালটি জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫১তম বছর। অর্থ্যাৎ ২০২৩ সাল আগামী ৫০ বছরের প্রথম বছর।”
নতুন রাষ্ট্রদূত ২৬ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এমন অনেক জাপানিদের কাছ থেকে আমি জেনেছি যে, বাংলাদেশীরা শুধুমাত্র দেশের উন্নয়নের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে না বরং জাপান এবং এর নাগরিকদের যথেষ্ঠ সম্মান করে।”
কিমিনোরি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে তিনি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমাগত প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে এবং দেশটি ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি থেকে উত্তরণ লাভ করবে।
তিনি বলেন, “এই দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে আমি ধারণা করছি যে, জাপানি ব্যবসায়ীরা সহায়তার পরিবর্তে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়ে ওঠবে।
রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বলেন, তিনি এদেশে ব্যবসা করতে আগ্রহী জাপানি কোম্পানিগুলোকে সহযোগিতা দিয়ে বাংলাদেশের আরও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে চান।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।