বিএনএ, ঢাকা : দুদক ও সিআইডির মামলায় গ্রেফতার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল, তার স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া পাপুলসহ ৬ ব্যক্তির দুই প্রতিষ্ঠানের সব সম্পদ জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে সিআইডি ও দুদকের আইনজীবীর পৃথক পৃথক আবেদনে সম্পদ ও ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দেন আদালত।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, পাপুল ও তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম অবৈধভাবে পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামের ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক ব্যাংক হিসাবগুলো জব্দের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের ১৪৮টি, স্ত্রী সেলিনা ইসলামর ৩৪৫টি, মেয়ে ওয়াফা ইসলামের ৭৬টি ও শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের ৪৮টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও অনেকের ব্যাংক হিসাব থেকে পাঁচটি হিসাবে ওই পরিমাণ টাকা জমা করা হয়। পরে তা থেকে এরই মধ্যে ১৪৮ কোটি ২১ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয় বলে উল্লেখ করেন আইনজীবী।
পাপুল ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তদন্ত করে মোট ৩৫৫ কোটি ৮৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা জমা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মানি লন্ডারিং আইনে গত মঙ্গলবার পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুল, মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান মনির (পাপুলের ব্যক্তিগত কর্মচারী), জেসমিন প্রধান (পাপুলের শ্যালিকা), ওয়াফা ইসলাম (পাপুলের মেয়ে), কাজী বদরুল আলম লিটন (পাপুলের ভাই), গোলাম মোস্তফা (মানবপাচারে সংশ্লিষ্ট জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার)।
এছাড়া মামলায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে আসামি করা হয়েছে। সেগুলো হলো- জে. ডব্লিউ লীলাবালী ও জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল। জে. ডব্লিউ লীলাবালীর প্রোপ্রাইটর পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধান এবং জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটার পাপুলের ভাই কাজী বদরুল আলম লিটন।
মানব ও অর্থ পাচারের অভিযোগে চলতি বছরের গত জুনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি পাপুলকে গ্রেপ্তার করে কুয়েতের সিআইডি। তিনি বর্তমানে দেশটির কারাগারে আছেন। কুয়েতের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে পাপুলের নামে জমা থাকা ১৩৮ কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/জেবি