স্পোর্টস ডেস্ক: দীর্ঘ ৩৬ বছরের শিরোপা খরা কাটাতে এবার কাতারে পা রেখেছিল লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। তবে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই সৌদি আরবের কাছে হেরে সেই আশায় গুড়ে বালি হয়েছিল আলবেসেলিস্তাদের। কিন্তু পরক্ষনেই সেই প্রেক্ষাপট পাল্টে বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষে দারুণ জয়ে আবারও বিশ্ব জয়ের স্বপ্নে টিকে থাকল আর্জেন্টিনা।
একই সঙ্গে মেসি স্পর্শ করেন ডিয়েগো ম্যারাডোনার রেকর্ড। ১ দিন আগেই যার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে ফুটবল বিশ্ব। বিশ্বকাপে দুজনের গোল সংখ্যা সমান ৮টি করে। আর ১টি পেলেই বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তীকে ছাপিয়ে যাবেন মেসি।
গতরাতে কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে মেক্সিকোর বিপক্ষে এই জয়ের কারিগর ‘এলএমটেন’। গোল করে দলকে যেমন দিয়েছেন বিশ্বকাপে টিকে থাকার সম্ভাবনার, ঠিক তেমনি তরুণ অ্যানো ফার্নান্দেসকে দিয়েও করিয়েছেন অনবদ্য এক গোল। এরসঙ্গে ফুটবলের রেকর্ডবুককেও উজ্জ্বল করেছেন এই ক্ষুদে জাদুকর।
এর আগে বিশ্বকাপের মঞ্চে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ ২১টি ম্যাচ খেলার রেকর্ড ছিল দিয়েগো ম্যারাডোনার। তবে মেক্সিকোর বিপক্ষে আজকের ম্যাচে মাঠে নেমে সেই রেকর্ডে পা রেখেছেন মেসি। ৩০ নভেম্বর পোল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে মাঠে নামলেই মেসি নাম লেখাবেন আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলারের তালিকায়।
পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতে আসা মেসির গোলসংখ্যা ৮টি। কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার গোলসংখ্যাও ৮টি। তবে আলবেসেলিস্তাদের হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ড গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার। তার গোলসংখ্যা ১০টি।
মেক্সিকোর বিপক্ষে জয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন মেসি। বিশ্বকাপের আসরে এটি তার সপ্তম। তাছাড়াও ফিফা বিশ্বকাপে ৭টি ম্যাচসেরার স্বীকৃতি আছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। ২০০২ বিশ্বকাপ থেকে চালু হওয়া এই পুরস্কারটি এখন পর্যন্ত এই দুই ফুটবলারই জিতেছেন সর্বাধিক ৭ বার করে।
তাছাড়াও বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৫টি ভিন্ন আসরে গোলে সহায়তা করার কীর্তিও গড়েছেন মেসি। অপরদিকে বিশ্বকাপের মঞ্চে আর্জেন্টিনার করা সর্বশেষ ১৫ গোলের ১০টির সঙ্গেই জড়িয়ে আছে মেসির নাম। যার ৭টি গোল, ৩টিতে সহায়তা আছে এই ফুটবলারের।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ