বিএনএ ডেস্ক: আজ শনিবার ‘শহীদ ডা. মিলন দিবস। ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় গুলিতে নিহত হন ডা. শামসুল আলম খান মিলন।
ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে যুক্ত বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. মিলন ছিলেন নব্বইয়ের দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সংগঠক।
জাসদ ছাত্রলীগ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ শাখার সভাপতিও ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ’র সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর রিকশায় করে শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ডা. মিলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি’র সামনে পৌঁছলে তাকে গুলি করে পুলিশ।
ডা. মিলনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তখন নতুন গতিবেগ সঞ্চারিত হয়। পরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সেই সময়ের স্বৈরশাসনের পতন ঘটে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
বিএমএ’র সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. মিলনের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী ও দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
এর অংশ হিসেবে সকালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, সিপিবিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে শহীদ ডা. মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের বীর শহীদ ডা. মিলনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন তারা।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেছেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ডা. মিলন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। শহীদ ডা. মিলনের মতো আরও অনেকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৯০ সালে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে। দেশের প্রতিটি গণতন্ত্রকামী মানুষ এসব বীর শহীদের অবদান চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। নতুন প্রজন্ম ডা. মিলনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চায় নিজেদের নিয়োজিত করবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডা. মিলনের আত্মত্যাগে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন নতুন গতি পেয়েছিল। সেদিনই দেশে জরুরি আইন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু জরুরি আইন, কারফিউ উপেক্ষা করে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে বারবার রাজপথে নেমে আসে। অবশেষে স্বৈরশাসকের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয় বলে জানান বঙ্গবন্ধদু কন্যা।
বিএনএনিউজ/আরকেসি