বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীর এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের (বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার) র্যাম্পের পিলারে কোনো ফাটল পায়নি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ দল। মূলত এটি আন ফিনিশিং জয়েন। বরং এটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া যেতে পারে।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকালে ফ্লাইওভার পরিদর্শন করে র্যাম্পটির নকশা প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান ডিজাইন প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (ডিপিএম) কনসালটেন্টসের ডিরেক্টর মো. শাহজাহান এ তথ্য জানান। তিনি জানান, চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের র্যাম্পের পিলারে বাইরে থেকে দেখতে ফাটলের মতো অংশে ‘ক্রেক’ নেই, এগুলো ‘আন ফিনিশিং জয়েন্ট’। একটি পিলার নির্মাণের সময় ধাপে ধাপে কাজ শেষ করতে হয়। এখানে পিলারের একটি ধাপের সংযোগস্থলে কিছুটা ‘কংক্রিট ও প্লাস্টার’ বের হয়ে আছে। যা দেখতে ফাটলের মতো দেখাচ্ছে।
মো. শাহজাহান আরও বলেন, হালকা যান চলাচলের জন্য ফ্লাইওভার এখনই খুলে দেওয়া যেতে পারে। তবে বিষয়টি আরও নিশ্চিত হতে কিছু কারিগরি পরীক্ষা করা হবে। প্রয়োজনে ক্রেক হওয়া স্থানটি কেটে পিলারে ভেতরে কোনো ক্ষতি হয়েছে কিনা তাও দেখা হবে।
প্রসঙ্গত, যানজট নিরসনে নগরীর শুলকবহর থেকে বহদ্দারহাট, এক কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত এম এ মান্নান ফ্লাইওভার নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সিডিএ। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১২ সালের নভেম্বরে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৪ জন নিহত হন। এর পর নির্মাণকাজ তদারকির দায়িত্ব পায় সেনাবাহিনী। নির্মাণকাজ শেষে ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর ফ্লাইওভারটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চসিককে বুঝিয়ে দেয় সিডিএ।
উদ্বোধনের পর ফ্লাইওভারটি কার্যকর না হওয়ায় ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে আরাকান সড়কমুখী র্যাম্প নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সিডিএ। ৩২৬ মিটার দীর্ঘ এবং ৬ দশমিক ৭ মিটার প্রস্থ র্যাম্পটি নির্মাণ শেষে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। র্যাম্পটিতে ১৪টি পিলার রয়েছে।
বিএনএ/এমএফ