28 C
আবহাওয়া
৭:৩২ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ১৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৪২ (হবিগঞ্জ-৪)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৪২ (হবিগঞ্জ-৪)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল সংসদীয় আসন-২৪২ (হবিগঞ্জ-৪)

বিএনএ, ঢাকা: বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসনভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম। আজ থাকছে হবিগঞ্জ-৪ আসনের হালচাল।

হবিগঞ্জ-৪ আসন

হবিগঞ্জ–৪ সংসদীয় আসনটি চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ২৪২ তম আসন। পাহাড়, চা-বাগান অধ্যুষিত এই আসনে রয়েছে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। রেমা কালেংগার মতো অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

YouTube player

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের এনামুল হক বিজয়ী হন

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই আসনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ৭ শত ৫৭ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৪ শত ৮৮ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এনামুল হক বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৬৭ হাজার ৮ শত ৪৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির সৈয়দ মো. ফয়সাল। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৫১ হাজার ৬ শত ৯৪ ভোট।

ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন: বিএনপির সৈয়দ মো. ফয়সালকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন শুধু বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি, প্রতিহতও করে। নির্বাচনে বিএনপি, ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এই নির্বাচনে বিএনপির সৈয়দ মো. ফয়সালকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর এই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

সপ্তম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের এনামুল হক বিজয়ী হন

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৫১ হাজার ৩ শত ৬ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ৩ শত ১২ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এনামুল হক বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৭০ হাজার ২ শত ৪০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির সৈয়দ মো. ফয়সাল। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৫৯ হাজার ৬ শত ৬৬ ভোট।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের এনামুল হক বিজয়ী হন

২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ১১ হাজার ২ শত ৮৭ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৩৭ হাজার ৫ শত ৪ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এনামুল হক বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৭ হাজার ৩ শত ৭৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির সৈয়দ মো. ফয়সাল। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৯৩ হাজার ৩১ ভোট।

নবম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের এনামুল হক বিজয়ী হন

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ২৪ হাজার ১ শত ৪৮ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৮৪ হাজার ৪ শত ৯৩ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এনামুল হক বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৫৩ হাজার ৯ শত ৭৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির সৈয়দ মো. ফয়সাল। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ২৩ হাজার ২ শত ২৬ ভোট।

দশম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মো. মাহবুব আলী বিজয়ী হন

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৬৭ হাজার ২ শত ১০ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৪২ হাজার ৪ শত ৭২ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মো. মাহবুব আলী বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ২২ হাজার ৪ শত ৩৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ তানভীর আহমেদ। তালা প্রতীকে তিনি পান ১৪ হাজার ৭ শত ৬০ ভোট। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে র্নিবাচনের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মো. মাহবুব আলী বিজয়ী হন

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৪ লাখ ২৭ হাজার ৬ শত ১৮ জন। ভোট প্রদান করেন ৩ লাখ ৬৬ হাজার ২ শত ৫৯ জন। নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৫ জন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মো. মাহবুব আলী, ধানের শীষ প্রতীকে খেলাফত মজলিশের আহমেদ আব্দুল কাদের, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সামসুল আলম, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির আনছারুল হক এবং মোমবাতি প্রতীকে ইসলামী ফ্রন্টের ছোলাইমান খান রাব্বানী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মো. মাহবুব আলী বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৩ লাখ ৮ হাজার ৭ শত ২৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন খেলাফত মজলিশের আহমেদ আব্দুল কাদের। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান মাত্র ৪৬ হাজার ১ শত ৮৩ ভোট। কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, শুধুমাত্র ষষ্ঠ সংসদে বিএনপি এবং পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, নবম, দশম ও একাদশ সংসদ আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশীরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর হবিগঞ্জ-৪ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, হবিগঞ্জ-৪ সংসদীয় আসনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৫৫.২৫% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪৫.৬৯%, বিএনপি ৩৪.৮১%, জাতীয় পার্টি ১৭.৬৪%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১.৮৬% ভোট পায়।

১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৭৫.৩৩% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৭.১০%, বিএনপি ৩১.৫২% জাতীয় পার্টি ২৬.১০%, জামায়াতে ইসলামী ১.৩৮%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৩.৯০% ভোট পায়।

২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৭৬.৩০% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪৫.২১%, ৪ দলীয় জোট ৩৯.১৭%, জাতীয় পার্টি ১৩.৬৬%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১.৯৬% ভোট পায়।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮৭.০৫% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট ৫৪.৭৩%, ৪ দলীয় জোট ৪৩.৮১%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১.৪৬% ভোট পায়।

হবিগঞ্জ-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের মো. মাহবুব আলী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও মনোনয়ন চাইবেন। তার মনোনয়ন অনেকটা নিশ্চিত। মো. মাহবুব আলী ছাড়াও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক পিপি আকবর হোসেইন জিতু ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত ব্যক্তি ব্যারিস্টার সুমন সংসদ সদস্য না হয়েও এলাকায় ৪৫টি ব্রিজ তৈরি করে এলাকায় একটি বলয় তৈরি করেছেন। এছাড়া চা শ্রমিকদের মধ্যে তার বেশ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সল। এছাড়া বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তার শিপা, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মাধবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. শাহজাহান, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী ও জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম।

২০ দলীয় জোটের প্রধান শরিক জামায়াতে ইসলামীর হবিগঞ্জ জেলা আমির কাজী মাওলানা মুখলিছুর রহমান এ আসনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন।

তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, হবিগঞ্জ-৪ আসনে ১৯৭০ সালের প্রথম সংসদ নির্বাচন থেকে ২০১৮ সালের একাদশ পর্যন্ত তিনটি নির্বাচন ছাড়া সবকটি নির্বাচনে এ আসন থেকে জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। মাধবপুরে আওয়ামী লীগের অবস্থান দুর্বল হলেও চুনারুঘাট, আওয়ামী লীগের ঘাঁটি বা দুর্গ। টানা ছয়বার আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন প্রয়াত সমাজকল্যাণমন্ত্রী এনামুল হক। তাঁর মৃত্যুর পর দুবার সংসদ সদস্য হন অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী। সৎ মানুষ হিসেবে খ্যাতি রয়েছে বর্তমান সংসদ সদস্য মাহবুব আলীর। কিন্তু মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে তিনি জনবিচ্ছিন্ন বলে অভিযোগ আছে। এছাড়া এলাকায় পর্যটনের কাঙ্খিত বিকাশ ও উন্নয়ন না করায় ভোটারদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত দলীয় কোন্দল। তবে ভরসা চা শ্রমিক। বঙ্গবন্ধু চা শ্রমিকদের ভোটাধিকার দিয়েছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের মজুরি বৃদ্ধি করেছেন। সেই দিক থেকে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে আওয়ামী লীগ। এই সংসদের নির্বাচনে জয়-পরাজয়ে আরেকটি বড় ফ্যাক্টর সায়হাম পরিবার। তাদের রয়েছে নিজস্ব ভোট ব্যাংক। তাদের এই ভোট ব্যাংক বিএনপির বাক্সকে পূর্ণ করবে। বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা চুনারুঘাটের চেয়ে মাধবপুরে বেশ শক্ত। এছাড়া আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল এবং নিজস্ব ও জামায়াতে ইসলামীর ভোটের ওপর নির্ভর করে বিএনপি চায় আসনটি দখলে নিতে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ চায় আসনটির দখল বজায় রাখতে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে এবং আওয়ামী লীগ দলীয় কোন্দল নিরসন করে ঐক্যবদ্ধ হলে জাতীয় সংসদের ২৪২ তম সংসদীয় আসন (হবিগঞ্জ-৪) আসনটিতে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আরও পড়ুন: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৪১ (হবিগঞ্জ-৩)

বিএনএনিউজ/ শাম্মী/ রেহানা/ বাবর/ ওয়াইএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ