বিএনএ, চট্টগ্রাম : ইয়াবার নেশায় অভ্যস্ত করে মাদক ব্যবসায় নিয়োজিত করতে চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিংয়ে অপহৃত কিশোরীকে কুমিল্লা থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব-৭ । এ সময় অপহরণের অভিযোগে দুই নারীসহ তিনজনকে তিন হাজার ৭৫২ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।মঙ্গলবার(২৭ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন র্যাব-৭ ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কুমিল্লার বাঙ্গরাবাজার এলাকার হায়দারাবাদ গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে মনির হোসেন (৩৫), সকিনা আক্তার ওরফে ফারজানা (৩০) ও শিমুল আক্তার (৪০)।
র্যাব- ৭ জানায়, সোমবার(২৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৩টায় কুমিল্লার কোতোয়ালীর দৌলতপুর এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে ভিকটমকে উদ্ধার করা হয়।
অপহৃত কিশোরী পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। বাবা মারা যাওয়ার পর তার আর পড়ালেখা করার সুযোগ হয়নি। মনির হোসেন তার মায়ের ভাগিনা হয়। সে সুবাধে প্রায়ই ভিকটিমদের বাড়িতে তার যাওয়া-আসা ছিল। গত কয়েক মাস আগে মনির হোসেন তার আগের তিনটি স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও ভিকটিমকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় মায়ের কাছে। ভিকটিমের মা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় এবং তার মেয়ের সাথে কোনোপ্রকার যোগাযোগ কিংবা উত্ত্যক্ত না করার জন্য নিষেধ করে। এতে মনির ক্ষিপ্ত হয়ে যেকোনো সময় তার মেয়েকে তুলে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেয়।
র্যাব জানায়, গত ২২ জুলাই দুপুরে ভিকটিম বাসা থেকে বের হলে মনি পূর্বপরিকল্পিভাবে ভিকটিমকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে। সন্ধ্যা পর্যন্ত বাসায় না ফিরলে মেয়েকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজা শুরু করে। পরে ওই দিন রাতে ডবলমুরিং থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে ভিকটিমের মা তার বোনের কাছ থেকে জানতে পারে মনির হোসেন তার সহযোগী রাকিবের সহায়তায় তার মেয়েকে অপহরণ করেছে। এ ঘটনায় তিনি ২৮ জুলাই ডবলমুরিং থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার গণমাধ্যমকে জানান,, অপহরণের বিষয়টি আমাদের জানালে আমরা গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার(২৬ সেপ্টেম্বর, রাত আনুমানিক ৩ টা) কুমিল্লার দৌলতপুরে একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া অপহরণের সাথে জড়িত মনির হোসেনকে তার দুই নারী সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩ হাজার ৭৫২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, মনির তার সহযোগী রাকিবের সহায়তায় দুই মাস আগে ওই কিশোরীকে অপহরণ করে কুমিল্লায় নিয়ে আসে। সেখানে একটি ফ্ল্যাটে আটকে রেখে মাদকাসক্ত করে মাদক পাচারের কাজে ব্যবহার করার চেষ্টা করে তাকে। গ্রেফতার মনির ও তার দুই নারী সহযোগীকে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। উদ্ধার কিশোরীকে ডবলমুরিং থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বিএনএ/ ওজি