বিএনএ, নেত্রকোনা : নেত্রকোনার মদন উপজেলায় বউ-শ্বাশুরীর দ্বন্ধের জেরে দূর্বৃত্তদের হামলার কারণে সোমবার রাতে মীনারা আক্তার (৫০) নামের এক নারীর মৃত্যূ হয়েছে। এর আগে একই ঘটনায় রোববার রাতে শফিকুল ইসলাম (৬০) নামের একজন মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যূ হয়। সেদিন (রোববার) রাত নয়টার দিকে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের রুদ্রশ্রী গ্রামের নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হয় তারা। এই ঘটনায় শরূফা আক্তার (৪৫) নামের একজন নারীকে আটক করেছে মদন থানার পুলিশ। শরূফা আক্তার ফতেপুর মড়লপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রুদ্রশ্রী গ্রামের এলাল উদ্দিনের ছেলে মোবারক হোসেন প্রায় ৩ বছর আগে ফতেপুর মড়লপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে মুন্না আক্তারকে বিয়ে করেন।রোববার সন্ধ্যায় মুন্না আক্তার তার শ্বাশুরী রিনা আক্তারের সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তর্কবির্তক করেন। পরে মুন্না আক্তার রাগ করে তার পিতার বাড়িতে চলে যান এবং পরিবারের লোকজনের কাছে শ্বাশড়ীর বিরুদ্ধে নালিশ করেন।
মুন্না আক্তারের কথা শুনে পিতা আব্দুল মান্নান লোকজন নিয়ে ধাড়ালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে মেয়ের জামাইয়ের ( মোবারক হোসেনের রুদশ্রী গ্রামের বাড়িতে ) বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময়ে উত্তেজনা থামাতে প্রতিবেশী মৌলভী শফিকুল ইসলাম এগিয়ে আসলে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক শফিকুল ইসলামকে মৃত ঘোষনা করেন। হামলায় ইব্রাহীম (৮০), মোবারক হোসেন (২৫) মাসুম মিয়া (১২) ও মিনারা আক্তার (৫০), জুনাঈদ (১৫), রিনা আক্তার (৩৮) ও কাদির মিয়াকে (১৩) আহত হন। তাদের মধ্যে মীনারা আক্তার সোমবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
মদন থানার ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, ‘পারিবারিক কলহের জেরে ছুরিকাঘাতে শফিকুল ইসলাম নিহত হয়েছেন। ওই ঘটনায় আহত মিনারা আক্তার সোমবার রাতে মারা গেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শরূফা আক্তার নামের এক নারীকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিএনএ/ফেরদৌস আহমাদ বাবুল, ওজি