সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) ফাতেমা তুজ জোহরা বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদ(ইউপি) জন্মনিবন্ধনসহ সরকারি সেবাসমূহের সরকার নির্ধারিত তালিকা টাঙানো এবং নির্ধারিত তালিকার বেশী অর্থ আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সোমবার(২৬সেপ্টেম্বর) সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদ হলে উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং সর্বত্র অনলাইন সেবা চালুর মূল উদ্দেশ্য হল সরকারি সেবা ঘরে ঘরে পৌঁছানো এবং সহজ করা। এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফি আদায়ের নামে কোন হয়রানী সহ্য করা হবে না।
সভায় অন্যান্য বক্তাগণ বলেন, পৌরসভা সহ সমগ্র সাতকানিয়ায় মশক নিধন অভিযান পরিচালনা না করায় ডেংগু রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। মসজিদ, ওয়াজ মাহফিল, ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে পুঁজি করে জামায়াত-শিবির, স্বাধীনতা বিরোধীরা সাধারণ মানুষকে উস্কানি দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এসব বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। বক্তারা কিশোর গ্যাং ও মাদকের কারণে উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেন। লাইসেন্সবিহীন অবৈধ মোটর সাইকেল আটকে অভিযানের পরামর্শ দেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন হাসান চৌধুরী,সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ তারেক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান, হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুল আলম, সাতকানিয়া প্রেসক্লাব সভাপতি সৈয়দ মাহফুজ-উননবী খোকন, পল্লী বিদ্যুৎ এর ডিজিএম সাইফুল আলম, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আবসার চৌধুরী, চেয়ারম্যানদের মধ্যে মাদার্শার আবু নঈম মোহাম্মদ সেলিম, ছদাহার মো মোরশেদুর রহমান, বাজালিয়ার তাপস দত্ত, সাতকানিয়া সদরের মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন,কেঁউচিয়ার মো ওসমান আলী, ধর্মপুরের নাসির উদ্দীন, কাঞ্চনার রমজান আলী,চরতির মো রুহুল্লাহ চৌধুরী আমিলাইশের মোজাম্মেল হক,খাগরিয়ার আকতার হোসেন, কালিয়াইশের হাফেজ আহমদ,ও নলুয়ার লিয়াকত আলী প্রমুখ।
সভায় ইটের ভাটা গুলোতে রাতভর ক’য়েক হাজার বৈদ্যুতিক আলো জ্বালিয়ে রাখার কারনে বিদ্যুৎ এর অপচয় বন্ধ করা,নিরাপদ খাদ্য, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা, নারী-শিশু পাচার রোধ, এতিমখানার নিখোঁজ শিশুদের উদ্ধার করা, সাতকানিয়া থানা সদরে পাবলিক হলে মাদকদ্রব্য বেচা কেনা বন্ধ করা, চট্টগ্রাম – কক্সবাজার মহা-সড়কে যানজট নিরসনে হাইওয়ে ও পুলিশের টিআই ও থানা পুলিশকে তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এসএমএনকে,এসজিএন