39 C
আবহাওয়া
৪:৩০ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চবির বার্ষিক বিদ্যুৎ খরচের চেয়ে বরাদ্দ কম গবেষণা খাতে

চবির বার্ষিক বিদ্যুৎ খরচের চেয়ে বরাদ্দ কম গবেষণা খাতে


বিএনএ,চবি :চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বার্ষিক বাজেটে বিদ্যুৎ খরচে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তার থেকে কম বরাদ্দ রাখা হয়েছে গবেষণা খাতে। যেখানে বছরে বিদ্যুৎ খরচ রাখা হয়েছে ৬ কোটি টাকা সেখানে গবেষণার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে সাড়ে ৫ কোটি টাকা। যদিও গবেষণা খাতে এ বরাদ্দ গতবছরের থেকে বেশি।

গবেষণা খাতে ৯ কোটি টাকার চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে গবেষণা অনুদান (নিয়মিত) খাতে ৩ কোটি ৫০ লাখ, গবেষণা অনুদান (বিশেষ) এক কোটি ও এম.ফিল/ পি. এইচ. ডি খাতে এক কোটি। এ খাতে ২০২০-২১ সালে বরাদ্দ ছিল ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা।

প্রতি বছরের মতো এবারও সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বেতন ভাতা খাতে। এখাতে বরাদ্দের পরিমাণ ২৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ৬৩. ৯৮ শতাংশ। অবসর সুবিধা হিসেবে রাখা হয়েছে ৫৫ কোটি ০৩ লাখ টাকার বরাদ্দ ।
এছাড়াও পণ্য ও সেবা খাতে ৫৫ কোটি ৫৪ লাখ, বাস ও রেলের ভাড়া এক কোটি ৯০ লাখ এবং চিকিৎসা খাতে ৫৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

গবেষণা বরাদ্দে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান বলেন, আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার থেকে ছাত্রদের পড়ানোর বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। তবে এখন র‍্যাঙ্কিং নিয়ে কথা হচ্ছে, সবাই অনুধাবন করছে যে গবেষণা ছাড়া র‍্যঙ্কিংয়ে উন্নতি সম্ভব নয়। এখন সরকার এবং ইউজিসি নীতিগত ও আর্থিকভাবে সহায়তা করছে। আসলে যোগান না থাকলে চাহিদা বাড়ে না। আগে বরাদ্দ কম ছিল তাই গবেষণাও ছিল সীমিত। এখন বরাদ্দও বাড়ছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের গবেষণার গুণগত মানও বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, যদি বিগত বছরগুলোর কথা চিন্তা করি তাহলে দেখব তখন গবেষণা বরাদ্দ অনেক কম ছিল। এখন তুলনামূলকভাবে বাড়ছে। গতবছরের তুলনায় এবছরের বরাদ্দ বেশি। আমি বলবো না যে এই বরাদ্দ পর্যাপ্ত, তবে আশাপ্রদ। আমি বিশ্বাস করি যারা গবেষণা করতে ইচ্ছুক এ বরাদ্দ তাদের আগের চেয়ে বেশি উৎসাহিত করবে। আমরা একদিনে এ অবস্থা থেকে বের হতে পারবো না, তবে আমাদের যে প্রচেষ্টা চলছে তা এখান থেকে বের হতে সাহায্যে করবে। আশাকরি একদিন আমরাও উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করতে পারবো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মনিরুল হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মানেই গবেষণা, আমি মনে করি গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়া উচিত, বরাদ্দ বাড়লে গবেষণাও বাড়বে। সঠিকভাবে গবেষণা হলে সেটা আমাদের সবার জন্যই ভালো। আগে বরাদ্দ অনেক কম হতো, কিন্তু এখন সরকার চাচ্ছে আমরাও চাচ্ছি গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ুক। আশাকরি আগামীতে বরাদ্দ আরও বাড়বে।
বিএনএ/নাজমুস সায়াদাত,ওজি

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ