জামালপুর : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, আগস্ট মাস শোকের মাস, ষড়যন্ত্রের মাস, জাতির পিতাকে হারানোর মাস। এই জাতিকে কে মুক্তির সাধ দিয়েছিলেন? একটি স্বাধীন-সার্বভৌম জাতি রাষ্ট্রের স্রষ্টা কে? সেটা ভুলে গেলে চলবে না।
মন্ত্রী শুক্রবার (২৭ আগস্ট) জামালপুরে মির্জা আজম অডিটোরিয়ামে, ‘অনগ্রসর ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য আত্মকর্মসংস্থানমূলক কাজের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন শীর্ষক’- প্রকল্পের আওতায় প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন এবং প্রশিক্ষণ সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। মঞ্চের ব্যানারে জাতির পিতা ও শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার না করায় তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগস্ট মাসে যে অনুষ্ঠানের ব্যানারে স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নেই, সে অনুষ্ঠানে আমি বক্তব্য দিতে পারি না বলে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন। তিনি বলেন, সরকারি টাকার প্রকল্প পরিচালনা করা হবে কিন্তু জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবেন না সেটা আমরা কখনই মেনে নিব না। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে, একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকের সন্তান হিসেবে আমি তা মানতে পারব না। আগস্ট মাসে জাতির পিতার অবমাননা বরদাস্ত করা হবে না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার ধারাবাহিকতার কারণে দেশ অগ্রগতির সকল সূচকে যুগান্তকারী মাইলফলক স্পর্শ করেছে। এই বাংলাদেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, দেশরত্ন শেখ হাসিনা অনগ্রসর ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। কর্মমুখী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর দক্ষতা বৃদ্ধি ও আয়বর্ধনমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করে তাদের সমাজের মূলস্রোতধারায় আনতে হবে।
জামালপুরে এই প্রকল্পের আওতায় কম্পিউটার গ্রাফিক্স ডিজাইনে ৪৫০ জন এবং ড্রাইভিং কাম অটোমেকানিক কোর্সে ২৫২০ জনকে (সর্বমোট ২৯৭০জন) প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোর্শেদা জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, মির্জা আজম এমপি, মোজাফফর হোসেন এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি/সম্পাদক ও পৌর মেয়র ছানু।