বিএনএ টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিনকে হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। তাকে হত্যা করতে ব্যর্থ হলে তার কার্যালয়ে কাজ করা এক ঘনিষ্ঠ স্বজনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা আদায় করা হবে। টাকা না পেলে হত্যা করে মরদেহ যমুনা নদীতে ফেলা দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।
চিঠির খামে প্রেরক হিসেবে মো. জুবায়ের রহমানের নাম লেখা আছে। তবে, তার ঠিকানা উল্লেখ করা নেই। চিঠির নিচে প্রেরকের জায়গায় ‘জঙ্গি সংগঠন’ লেখা আছে। এটি একটি বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিস থেকে পাঠানো হয়েছে। এতে কীভাবে তাকে হত্যা করা হবে, তাও বলে দেয়া আছে। বিচারকের দেয়া বহু মামলার রায়ে সংগঠনের লোকজনের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে বলে এতে বলা হয়। জীবনের প্রতি মায়া থাকলে টাঙ্গাইল থেকে তাকে বদলি হয়ে যেতে বলা হয়। পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে তাকে বাঁচাতে পারবে না বলে চিঠিতেে উল্লেখ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিচারক খালেদা ইয়াসমিনের কাছে একটি চিঠি আসে। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) ঘটনাটি জানাজানি হয়। এ নিয়ে সব বিচারকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বিচারক খালেদা ইয়াসমিনসহ তার পরিবারের লোকজন।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন জানান, চিঠিটি পাওয়ার পর বিষয়টি আইনশৃংখলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে। এছাড়া, পরিবার নিয়ে আতংকের মধ্যে রয়েছেন বলে জানান তিনি। এটি ওই বিচারকের রায়ে ক্ষুব্ধ কোনো একটি পক্ষের কাজ হতে পারে বলে মনে করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) সঞ্জিত কুমার রায় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, চিঠির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে বিচারক খালেদা ইয়াসমিন ও তার পরিবারের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়া, র্যাবের সকল টিম বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন র্যাব ১২ এর কোম্পানি কমান্ডার লে: কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বিএনএনিউজ/আরকেসি