বিএনএ, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের পাগলায় শারফুল ঢালী (২৮) নামে এক প্রবাসীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় পিতা ইসহাক ঢালীকে (৬০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) মধ্যরাতে গাজীপুর শ্রীপুর মাওনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ইসহাক ঢালী পাগলা থানার চাকুয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ ঢালীর ছেলে।
এর আগে বুধবার (২৫ আগস্ট) সকালে পাগলা থানার চাকুয়া গ্রামে শারফুল ঢালীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে মা, বাবা ও ভাই। পরদিন বৃহস্পতিবার (২৬ আগষ্ট) সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই নিহতের ছোট বোন শেফালী আক্তার বাদী হয়ে মা-বাবা-ভাইকে আসামী করে পাগলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাগলা থানার ওসি মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, গ্রেফতারকৃত ইসহাক ঢালীকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এর আগে নিহতের মা হোসনে আরাকে আটক করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, উপজেলার চাকুয়া গ্রামের ইসহাক ঢালীর ছেলে শারফুল দীর্ঘ ৮ বছর লেবাননে ছিলেন। সেখানে ভালো বেতনে চাকুরী করতেন। প্রায় ছয় মাস আগে শারফুল দেশে ফিরে আসেন।
প্রবাসে কর্মরত অবস্থায় আয়-রোজগারের সব টাকা তার বাবা ইসহাক ঢালীর নামে দেশে পাঠাত। দেশে ফিরে টাকার হিসাব চাইলে বাবা ইসহাক ঢালী টাকার হিসাব দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং টাকা ফেরত দিবে না বলে জানায়। এ নিয়ে বাবা ছেলের মাঝে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
ঘটনার দিন সকালে টাকা পয়সা নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে বাবা ইসহাক ঢালী, মা হোসেনা আরা, ছোট ভাই আশরাফুল ঢালী লোহার রড ও শাবল দিয়ে শারফুল ঢালীকে পিটিয় হাত পা ভেঙ্গে গুরুতর আহত করে বসত ঘরের একটি রুমে তালাবন্ধ করে রাখে।
শারফুল ঢালীকে মারধর করার সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করতে গেলে ইসহাক ঢালী, হোসনে আরা, আশরাফুল ঢালী রড, শাবল ও রামদা দিয়ে এলাকাবাসীকে তাড়া করে।
পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শারফুল ঢালীকে উদ্ধার করে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে মারা যায়।
বিএনএনিউজ/হামিমুর রহমান/এইচ.এম।