বিএনএ, ঢাকা : বাংলাদেশে এখন একটি জগাখিচুড়ি ঘটনা চলছে। কয়েকজন ব্যক্তিকে বিদেশ থেকে ভাড়া করে এনে দেশ চালানো যায় না। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার করে দেবে- এমনটা ভাবার সুযোগ নেই।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার পতন ও জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপি মহাসচিব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করে বলেন, আজ গোটা জাতি একটি ক্রান্তিকালে পৌঁছেছে। একটি ভয়াবহ সংকট উপস্থিত হয়েছে। রাজনৈতিক শূন্যতা এবং অর্থনৈতিক বিরূপ প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য নির্বাচনের জোর দাবি জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই বক্তব্যের কয়েক ঘন্টা পর শনিবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ১৪টি রাজনৈতিক দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে জাতীয় পার্টির কাজী জাফর গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ১২ দলীয় জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেছেন, চার-পাঁচ দিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন।
মূহুর্তে এই সংবাদ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। নতুন করে তোলপাড় শুরু হয় রাজনৈতিক অঙ্গনে। তবে, সরকারের পক্ষ থেকে কেউ এই ব্যাপারে ঘোষণা না দেওয়ায়, রাজনৈতিক দল গুলো প্রধান উপদেষ্টার বরাত দিয়ে মোস্তফা জামাল হায়দারের এই বক্তব্যকে আমলে নিচ্ছে না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইসলামী দলগুলোর বিরোধীতা সত্বেও ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোপন বানিজ্যচুক্তি স্বাক্ষর এবং ৩৫ শতাংশ শুল্ক খড়গ, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, প্রতি বিপ্লব এবং আওয়ামী লীগের প্রত্যার্বতনের শঙ্কায় সরকার ঘরে বাহিরে বেশ চাপে রয়েছে। এই চাপ থেকে মুক্তি পেতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক তৃতীয় দফা বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস নতুন করে নির্বাচনের দিন তারিখের ‘মূলা’ ঝুলিয়ে দিয়েছেন।
বিএনএনিউজ/ শামীমা চৌধুরী শাম্মী/ এইচ.এম।