বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে শাহীন আকতার (৪০) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়াডস্থ চারিয়া সিকদার পাড়া এলাকার হাজী শহিদুল সওদাগর এর নতুন বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিম ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। জানা যায়,নিহত শাহীন আকতার ওই গ্রামের সৈয়দুল হকের পুত্র মুফতী মো.এমদাদুল্লাহ এর স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসা শিক্ষক এমদাদুল্লাহর স্ত্রী শাহীন আকতার দীর্ঘদিন যাবৎ মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় উপজেলার একটি প্রাইভেট হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ এ এস এম রিদওয়ান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ডাঃ সুরজিত রায় চৌধুরী ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও সাইকোথেরাপিষ্ট, সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডাঃ পঞ্চানন আচার্য্য এর তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
জানতে চাইলে নিহতের স্বামী মাদ্রাসা শিক্ষক এমদাদুল্লাহ জানান, সকালে আমি ও আমার ছেলে নাস্তা সেরে মাদ্রাসায় চলে যাই, পরে দুপুর ১ টা ৪৪ মিনিটের দিকে আমার ছেলের সহপাঠীর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমার স্ত্রী শাহীন আক্তার আত্মহত্যা করেছে খবর পেয়ে দ্রুত বাসায় এসে আমার স্ত্রী শাহীন আক্তারকে মৃত অবস্থায় দেখি। এর আগে আমার মেঝ ভাইয়ের স্ত্রী রাবিয়া খাতুন আনুমানিক বেলা ১২ টার দিকে আমার বসতঘরের পাশের ঘর থেকে দেখতে পান আমার স্ত্রী ফ্যানের হুকের সাথে দড়ি দিয়া ফাঁস লাগিয়ে দিয়া আছে। আমার স্ত্রী আমাদের বসতবাড়ীর বাউন্ডারীর গেটের লক লাগিয়ে বাসার কাজের মেয়েকে বাথরুমে আটকে রেখে আত্মহত্যা করে। আমার ভাইয়ের স্ত্রী রাবিয়া বেগম কোনভাবে গেট খুলতে না পেরে ছাদ দিয়ে বিকল্প পথে আমার বসতঘরে এসে বেলা আনুমানিক ১২ টা ১৫ মিনিটের দিকে আমার স্ত্রীকে কোমরের অংশে জড়িয়ে ধরে কাজের মেয়ে রুবিনার মাধ্যমে রশি কেটে আমার স্ত্রীর লাশ নিচে নামান।
এদিকে নিহতের খালাত ভাই, ওজাইর আহমেদ হামিদি বলেন, আমার খালাতো বোন মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলো। এ মাসে চিকিৎসার জন্য বোনকে ভারতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাটহাজারী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাসান বলেন, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। স্থানীয় মেম্বার ঘটনাস্থলে ছিলেন, এলাকাবাসীসহ সকলের সাথে কথা বলেছি, কারো কোনো সন্দেহ আছে কিনা তাও জেনেছি। সবাই স্বীকার করেছেন তিনি অসুস্থ ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। চিকিৎসাপত্রগুলোও আমি যাচাই করে দেখেছি। এই প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফনে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিএনএনিউজ/নাবিদ/এইচ.এম/এইচমুন্নী