বিএনএ, ঢাকা: সোমবার (২৬ জুন) ঈদের আগে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস ছিল। মঙ্গলবার (২৭ জুন) থেকে শুরু হচ্ছে ঈদুল আযহার সরকারি ছুটি। শুক্র-শনিবার যোগ করে ছুটি শেষে রোববার (২ জুন) থেকে অফিস-আদালতে আবার কাজ শুরু হবে।
এদিকে আজ থেকেই বাড়ির পথ ধরেছেন রাজধানীবাসী। এতে বিভিন্ন সড়কে বেড়েছে চাপ।
গত ঈদুল ফিতরে একদিনের ছুটি বাড়িয়ে দেয়ায় সড়কে চাপ কম ছিল। দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সংখ্যাও ছিল অনেক কম। এ ধারাবাহিকতায় এবারও ঈদুল আযহায় একদিন ছুটি বাড়িয়ে দেয়ার সুপারিশ করা হয়। পরে ছুটি একদিন বাড়িয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আমরা গত ঈদে একদিন বাড়তি ছুটি দিয়েছিলাম, দেখেছি ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ঠিক থাকে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, যাতে সবাই সুন্দরভাবে বাড়ি যেতে পারেন। সেজন্য সবাইকে প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশনা দেন।
এদিকে ছুটির সরকারি তালিকা বলছে ২৮ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ঈদুল আযহার ছুটি ছিল। তবে একদিন যোগ হওয়ায় ২৭ জুন থেকেই তা শুরু হচ্ছে। পরদিন ১ জুলাই (শনিবার) থাকবে সাপ্তাহিক ছুটি। সে হিসাবে মোট পাঁচ দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানও এই পাঁচ দিন বন্ধ থাকবে।
গত ১৯ জুন মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব ঈদ উদযাপনের সুবিধায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী আদেশে ছুটি বাড়িয়েছেন বলে জানান।
এদিকে, সকাল থেকে সব পথেই ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে চাপ বাড়লেও ঈদে ট্রেনযাত্রা এখন পর্যন্ত স্বস্তিরই রয়েছে। অন্যদিকে, ঈদযাত্রায় মানুষ ও যানবাহন পারাপারে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজির হাট নৌরুটে ২৭টি ফেরি ও ৩১টি লঞ্চ চলাচল করছে। চাপ বাড়লেও ঘাটে নেই যানজট কিংবা ভোগান্তি।
বিএনএনিউজ/বিএম