বিএনএ,চট্টগ্রাম: কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসা ৩১ রোহিঙ্গাকে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা করলডেঙ্গা পাহাড়ের বিভিন্ন সবজি বাগানে মালিকের অধীনে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ নিয়ে গত তিনমাসে ৫৯ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে বোয়ালখালী থানা পুলিশ।
রোববার (২৭ জুন) ভোরে উপজেলার আহল্লা কড়লডেঙ্গা, আমুচিয়া ও জ্যৈষ্ঠপুরা আরও কয়েকটি এলাকায় বাগানে অভিযান চালিয়ে তাদের তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি জানিয়েছেন বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম।
গ্রেপ্তারকৃত ৩১ রোহিঙ্গা হলো— শফি আলম (২৪), মুজিবুল্লাহ (২২), মো. রফিক (২০), মো. আইয়াজ (২২), শামীম (২০), এরশাদুল্লাহ (২০), নুর ইসলাম (২৮), কলিমুল্লাহ (২৩), মো. জোবায়ের (২২), রিয়াজুল হক (২৫), হামিদুল্লাহ (২০), নুরুল কবির (২০), সৈয়দুল আমিন (২০), মো. সাকের (২৫), মো. ইসমাইল (২৫), মো. কায়সার (২২), সামসুদ্দোহা (২০), শফি আলম (২২), কবির আহাম্মদ (২৬), জুবায়ের হোসেন (১৯), মকবুল নবী (২২), শফি আলম (২৫), মো. ইদ্রিছ (২২), সৈয়দ করিম (২০), আবুল কালাম (২৫), রিয়াজুল্লাহ (২০), আব্দুর রহমান (২০), মো. আনোয়ার (২৫), নুর কবির (৩৫), আব্দুল্লাহ (২৭) ও নুর হামিদ (২২)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন বেআইনি পন্থায় রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে বোয়ালখালীতে এনে শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করছে করলডেঙ্গা পাহাড়ের কিছু বাগান মালিক। অধিকাংশ লেবু বাগানের মালিক বাগানে শেড বানিয়ে রোহিঙ্গাদের বসবাসের সুযোগ দিয়ে কম মজুরির বিনিময়ে তাদের দিয়ে কাজ করাচ্ছে।
স্থানীয় শ্রমিক, যারা একসময় বাগানে কাজ করতেন তারা বেকার হয়ে পড়েছেন। এ নিয়ে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ আছে।
ওসি আবদুল করিম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসা এসব রোহিঙ্গারা উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চলে কামলা হিসেবে কাজ করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার তিনটি স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩১ রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বৈদেশিক অভিবাসন আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত তিন দশকে মিয়ানমার থেকে আসা নতুন-পুরনো মিলিয়ে বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার বসবাস। এর মধ্যে কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/মনির