বিএনএ,কক্সবাজার, আদালত প্রতিবেদক: সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়েছে। রোববার (২৭ জুন) কক্সবাজার দায়রা বিচারিক আদালতে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ১৫ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।তার কিছুক্ষণ পরই শুনানি শুরু হয়। অপরদিকে এই মামলায় অভিযুক্ত ৩ আসামি, বরখাস্ত হওয়া টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত ও কনস্টেবল সাগর দেবের পক্ষে করা জামিন আবেদনের শুনানিও হওয়ার কথাও রয়েছে।
জামিন আবেদনের বিষয়ে শুনানি
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, সাবেক ওসি প্রদীপ ও সাবেক এসআই নন্দদুলালের জামিন চেয়ে গত ১০ জুন আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু ওইদিন আদালতে নথি উপস্থাপন না হওয়ায় শুনানির দিন ধার্য করা হয়নি। ১৩ জুন এ নিয়ে পুনরায় আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে শুনানির জন্য ২৭ জুন দিন ধার্য করেন। এ মামলায় অভিযুক্ত কনস্টেবল সাগর দেব ১০ মাসেরও বেশি সময় পলাতক থাকার পর গত ২৪ জুন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈলের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত তার জামিন আবেদনের বিষয়ে শুনানির জন্য ২৭ জুন দিন ধার্য করেন।
মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান
উল্লেখ, গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় ৫ আগস্ট তার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী এবং টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ পুলিশের নয় সদস্যকে আসামি করে মামলা করেন। আদালত মামলার তদন্তভার দেয় র্যাবকে।
পরদিন ৬ অগাস্ট প্রদীপ কুমার দাশসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে শামলাপুর চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনকারী আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) তিন সদস্য এবং সিনহা হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের মামলার সাক্ষী স্থানীয় তিনজন বাসিন্দাকে আসামি দেখিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৫ আসামিই কক্সবাজার কারাগারে
গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে সাবেক ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া অপর ১২ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গত ১৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে ওসি প্রদীপসহ ১৫ জনের নামে অভিযোগপত্র দেন। এতে টেকনাফ থানার সাবেক দুই পুলিশ সদস্য কনস্টেবল সাগর দেব ও কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে নতুন করে আসামি করা হয়। পরে কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে র্যাব গ্রেপ্তার করলেও কনস্টেবল সাগর দেব পলাতক ছিলেন দীর্ঘদিন। বর্তমানে ১৫ আসামিই কারাগারে রয়েছেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর ওসি প্রদীপকে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে নেওয়া হয়েছিল। এরপর গত ১০ জুন তাকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
বিএনএনিউজ২৪,শহিদুল, এসজিএন